লোকেশন ট্র্যাকারের মাধ্যমে দুজন গ্রেপ্তার, পরে ইজিবাইকচালকের লাশ উদ্ধার

বাগেরহাট জেলার মানচিত্র

বাগেরহাটের ব্যাটারিচালিত ইজিবাইকচালক আনোয়ার মোল্লা (৪৫) গতকাল শুক্রবার রাতে বাড়ি ফিরছিলেন না। ফোনও বন্ধ ছিল। পরিবারের লোকজন তখন পুলিশের সহায়তায় তাঁর ইজিবাইকে লাগানো লোকেশন ট্রাকারের মাধ্যমে দুজনকে আটক করে। পরে আজ শনিবার ভোরে তাঁদের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী ওই চালকের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।

চিতলমারী উপজেলার সন্তোষপুর গ্রামের একটি চরে লাশটি পুঁতে রাখা ছিল। নিহত আনোয়ার মোল্লা জেলা শহরের মাঝিডাঙ্গা এলাকার সলেমান মোল্লার ছেলে। তিনি বাগেরহাট-চিতলমারী রুটে ইজিবাইক চালাতেন। শুক্রবার বিকেল থেকে নিখোঁজ ছিলেন তিনি। পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য বাগেরহাটের ২৫০ শয্যা জেলা হাসপাতালে পাঠিয়েছে।

পরিবারের লোকজন বলেন, বাগেরহাট শহরের কাঁচাবাজার থেকে যাত্রী নিয়ে ইজিবাইকে করে চিতলমারীর উদ্দেশ্যে রওনা দেন আনোয়ার। রাত হয়ে গেলেও তিনি না ফেরায় বাড়ির লোকজন তাঁকে খুঁজতে শুরু করেন। পরে ফোনেও তাঁকে না পেলে ইজিবাইকে লাগানো লোকেশন ট্র্যাকারের মাধ্যমে তাঁরা এর অবস্থান জানতে পারেন।

লোকেশন ট্র্যাকার ডিভাইস মটোলকের টেকনিশিয়ান এনামুল আহসান বলেন, অবস্থান শনাক্তের পর ইজিবাইকচালক আনোয়ারের ভাই দেলোয়ার মোল্লাসহ কয়েকজন পুলিশের সহায়তায় পিরোজপুরের কাউখালী উপজেলার শিয়ালকাঠি চৌরাস্তা মোড় থেকে ইজিবাইকটি উদ্ধার করে। সেখান থেকে দুজনকে হাতেনাতে আটক করা হয়। তাঁরা হলেন সজিব শেখ (২১) ও সাগর মজুমদার (১৯)। পরে রাতেই চিতলমারী থানায় নাম উল্লেখ করে মামলা করা হয়। পরে তাঁদের স্বীকারোক্তি অনুযায়ী কুশির বাগানসংলগ্ন চর থেকে আনোয়ারের গলাকাটা লাশ উদ্ধার করা হয়।

গ্রেপ্তার সজিব শেখ কচুয়া উপজেলার গজালিয়া এবং সাগর মজুমদার পিরোজপুরের নাজিরপুর উপজেলার বাকশি গ্রামের বাসিন্দা।

দেলোয়ার মোল্লা বলেন, ‘অনেক রাত হওয়ার পরেও ভাইকে যখন ফোনে পাচ্ছিলাম না, তখন আমরা লোকেশন ট্র্যাকারের টেকনিশিয়ানের সঙ্গে যোগাযোগ করি। পুলিশের সহায়তায় আমরা কাউখালী থেকে ইজিবাইকসহ দুই ‍ছিনতাইকারীকে ধরি।’

চিতলমারী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) স্বপন চন্দ্র রায় বলেন, হত্যার শিকার ইজিবাইকচালকের লাশ ময়নাতদন্তের জন্য বাগেরহাট ২৫০ শয্যা জেলা হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। আসামিদের আদালতে সোপর্দের প্রস্তুতি চলছে। এ ছাড়া এই ঘটনায় আর কেউ জড়িত আছে কিনা, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।