জামিন পাননি ঝুমন দাস, উচ্চ আদালতে যাবে পরিবার

ঝুমন দাশ
ফাইল ছবি

সুনামগঞ্জে নিজের ফেসবুকে ‘উসকানিমূলক’ পোস্ট দেওয়ার অভিযোগে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলায় গ্রেপ্তার ঝুমন দাস ওরফে আপনের (২৬) আইনজীবী আজ সোমবার আদালতে তাঁর জামিন চেয়েছিলেন। আদালত তাঁর জামিন নামঞ্জুর করেছেন।

ঝুমন দাসের আইনজীবী পঙ্কজ তালুকদার বলেন, গত ৩০ আগস্ট ঝুমন দাস গ্রেপ্তার হওয়ার পর ৪ সেপ্টেম্বর তাঁরা নিম্ন আদালতে জামিন চেয়েছিলেন। কিন্তু জামিন হয়নি। আজ সুনামগঞ্জের জেলা ও দায়রা জজ আদালতে আবার জামিনের আবেদন করা হয়। বিচারক জামিনের আবেদন নামঞ্জুর করেন।

আইনজীবী পঙ্কজ তালুকদার বলেন, ঝুমন দাসের পরিবার উচ্চ আদালতে জামিনের আবেদন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

ঝুমন দাসের বাড়ি সুনামগঞ্জের শাল্লা উপজেলার হবিবপুর ইউনিয়নের নোয়াগাঁও গ্রামে। শাল্লা থানার পুলিশ তাঁকে গত ৩০ আগস্ট দুপুরে বাড়ি থেকে ধরে নিয়ে যায়। পরে তাঁর বিরুদ্ধে শাল্লা থানার পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) সুমনুর রহমান বাদী হয়ে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে একটি মামলা করেন। ওই মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে পরের দিন তাঁকে আদালতে হাজির করে পুলিশ। ঝুমন দাস সেদিন আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন।

ঝুমন দাসের বিরুদ্ধে একই থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে গত বছরের ২২ মার্চ আরেকটি মামলা করেছিল পুলিশ। ওই মামলায় তিনি প্রায় ছয় মাস কারাগারে ছিলেন। মামলাটি এখন সিলেটের সাইবার ট্রাইব্যুনালে আছে।

হেফাজতে ইসলামের তৎকালীন কেন্দ্রীয় নেতা মামুনুল হককে নিয়ে ফেসবুকে দেওয়া ঝুমন দাসের একটি পোস্টের জেরে গত বছরের ১৭ মার্চ সকালে নোয়াগাঁও গ্রামে হামলা হয়। হামলার ঘটনার আগে ১৫ মার্চ সুনামগঞ্জের দিরাই উপজেলা শহরে আয়োজিত এক সমাবেশে হেফাজত নেতা মামুনুল হক বক্তব্য দেন। পরে মামুনুল হককে নিয়ে নিজের ফেসবুকে ‘আপত্তিকর’ পোস্ট দেন বলে অভিযোগ ওঠে তাঁর বিরুদ্ধে। ১৬ মার্চ রাতে পুলিশ তাঁকে আটক করে।

এ ঘটনায় শাল্লা থানায় মামলা হয় তিনটি। এর মধ্যে দুটি হয় হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনায়। অন্য মামলাটি পুলিশ করে ঝুমন দাসের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে। এই মামলায় তিনি প্রায় ছয় মাস জেল খাটার পর হাইকোর্ট থেকে এক বছরের জন্য ২০২১ সালের ২৩ সেপ্টেম্বর জামিন পান।