যশোর-ঢাকা রেলপথে পাঁচটি ট্রেন চালুর দাবি, আন্দোলনে নামার হুশিয়ারি

ছয় দফা দাবিতে আজ রোববার যশোর রেলওয়ে জংশনে সমাবেশ হয়েছেছবি: প্রথম আলো

যশোর রেলওয়ে জংশন থেকে পদ্মা সেতু রেলপথ হয়ে চারটিসহ ঢাকায় যাতায়াতের মোট পাঁচটি ট্রেন দেওয়ার দাবিতে সমাবেশ হয়েছে। আজ রোববার বেলা ১১টায় যশোর রেলওয়ে জংশনে এই কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়েছে।

এ সময় বক্তারা বলেন, দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত প্রয়োজনে কাফনের কাপড় পরে রেললাইন অবরোধ করা হবে। সমাবেশ শেষে স্টেশনমাস্টার ও যশোর জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে রেলমন্ত্রী বরাবর স্মারকলিপি দেওয়া হয়। ‘বৃহত্তর যশোর রেল যোগাযোগ উন্নয়ন সংগ্রাম কমিটি’র ব্যানারে এই কর্মসূচি পালিত হয়।

সমাবেশে বক্তারা বলেন, স্বপ্নের পদ্মা সেতু রেল প্রকল্পে যশোরবাসীর সঙ্গে প্রতারণা করা হয়েছে। এত দিন যশোর থেকে তিনটি ট্রেন—চিত্রা এক্সপ্রেস, সুন্দরবন এক্সপ্রেস ও বেনাপোল এক্সপ্রেস ঢাকায় যাতায়াত করত। কিন্তু পদ্মা সেতু রেল প্রকল্পের মাধ্যমে যশোরের জন্য মাত্র একটি ট্রেন রাখা হয়েছে। খুলনা-ঢাকার ট্রেন যশোরের সীমান্তবর্তী পদ্মবিলা জংশন হয়ে ঢাকায় যাবে। পদ্মবিলায় গিয়ে যশোরবাসীর পক্ষে এই ট্রেনে যাতায়াত বাস্তবতা বিবর্জিত। পাশাপাশি কোটচাঁদপুরের সাফদালপুর ও মোবারকগঞ্জ থেকে ঢাকায় যাওয়ার কোনো ট্রেনই থাকছে না। এসব সমস্যা চিহ্নিত করে রেল যোগাযোগ উন্নয়নের স্বার্থে ছয় দফা দাবি ঘোষণা করেছে সংগ্রাম কমিটি।

দাবিগুলোর মধ্যে রয়েছে—বেনাপোল থেকে ঢাকা, দর্শনা থেকে যশোর হয়ে ঢাকার দুটি করে এবং খুলনা থেকে যশোর ঈশ্বরদী হয়ে যমুনা সেতু হয়ে অন্তত একটি ট্রেন বহাল রাখা; ঢাকায় গিয়ে দাপ্তরিক সময় ধরার মতো সময়ে যশোর জংশন থেকে ট্রেন ছাড়া; আন্তনগর ট্রেনে সুলভ বগি এবং ফুল, মাছ ও সবজিবাহী বগি (ভেন্ডার) যোগ করা; ট্রেনের ভাড়া সহনীয় পর্যায়ে নামানো; নিবন্ধনের বাইরেও টিকিটপ্রাপ্তি নিশ্চিত করা; সিনিয়র সিটিজেনদের টিকিটপ্রাপ্তিতে অগ্রাধিকার দেওয়া ও জরুরি ভিত্তিতে দর্শনা থেকে খুলনা পর্যন্ত ডাবল লাইন স্থাপন।

বৃহত্তর যশোর রেল যোগাযোগ উন্নয়ন সংগ্রাম কমিটির আহ্বায়ক কওসার আলীর সভাপতিত্বে ও সদস্যসচিব রুহুল আমিনের সঞ্চালনায় সমাবেশে বক্তব্য দেন বিপ্লবী কমিউনিস্ট লীগের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক ইকবাল কবির জাহিদ, যশোর কলেজের অধ্যক্ষ মোস্তাক হোসেন, সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোট যশোরের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি দীপঙ্কর দাস রতন, সুরধুনী সংগীত নিকেতনের সভাপতি হারুণ অর রশিদ, শ্রমিক নেতা মাহবুবুর রহমান, সংগ্রাম কমিটির সদস্য আমিনুর রহমান প্রমুখ।

সমাবেশ শেষে যশোর রেলওয়ে স্টেশনমাস্টার আয়নাল হাসান ও যশোরের জেলা প্রশাসক আবরাউল হাছান মজুমদারের মাধ্যমে রেলমন্ত্রী বরাবর স্মারকলিপি দেওয়া হয়।