ফরিদপুরে বাসচাপায় অটোরিকশার দুই যাত্রী নিহত
ফরিদপুরের মধুখালী উপজেলায় বাসের চাপায় ব্যাটারিচালিত অটোরিকশার দুই যাত্রী নিহত হয়েছেন, আহত হয়েছেন ১০ জন। গতকাল বৃহস্পতিবার রাত ১টার দিকে মধুখালী বাসস্ট্যান্ডের সামনে ঢাকা-খুলনা মহাসড়কে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহত দুজন হলেন ঝালকাঠির নলসিটি উপজেলার কুন্ডুপাশা গ্রামের বাবর আলীর ছেলে সুমন আলী (৩৮) ও বরিশাল সদর উপজেলার সারুখালী গ্রামের বাসিন্দা ইয়াছিন হাওলাদারের ছেলে সিরাজ হাওলাদার (৬০)। আহত ব্যক্তিরা হলেন মিলন (৩২), মিম (৩), সোনালী (৬), জসিম (৩২), শিরিন (৩০), সুমন (৩৮), শারমিন (২৫), রাহাত (২৫), লিজা (৪৫) ও আটোরিকশাচালক সামসু (৪০)। এ ঘটনায় বাসচালক সুব্রত দাস প্রকাশকে (৩৮) আটক করেছে পুলিশ। তিনি ঝিনাইদহের শৈলকুপা উপজেলার আলশিয়া গ্রামের বাসিন্দা।
করিমপুর হাইওয়ে পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, নিহত ও আহত ব্যক্তিরা এক অপরের স্বজন। তাঁরা ঈদ উপলক্ষে ঝালকাঠি থেকে পাবনায় এক স্বজনের বাড়িতে বেড়াতে গিয়েছিলেন। সেখান থেকে মধুখালীর গোন্দারদিয়া এলাকায় তাঁদের আরেক স্বজনের বাড়িতে যাচ্ছিলেন। গতকাল রাত পৌনে ১টার দিকে তাঁরা পাবনা থেকে আসা একটি বাসে মধুখালী বাসস্ট্যান্ডে নামেন। এরপর সেখান থেকে তাঁরা গোন্দারদিয়া যাওয়ার জন্য একটি অটোরিকশা ভাড়া করেন। অটোরিকশাটি মধুখালী বাসস্ট্যান্ডের সামনে মহাসড়কে ওঠার সঙ্গে সঙ্গে ঝিনাইদহ থেকে ছেড়ে আসা ঢাকাগামী পূর্বাশা পরিবহনের একটি যাত্রীবাহী বাস (ঢাকা মেট্রো-ব-১৫-০৬১৩) অটোরিকশাটিকে চাপা দেয়। এতে অটোরিকশার চালকসহ যাত্রীরা আহত হন। আহত যাত্রীদের উদ্ধার করে মধুখালী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়। আশঙ্কাজনক অবস্থায় দুজনকে ফরিদপুরের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সুমন আলী ও সিরাজ হাওলাদার মারা যান।
করিমপুর হাইওয়ে পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ সালাউদ্দিন চৌধুরী বলেন, যাত্রীবাহী পূর্বাশা পরিবহনের বাসটি লেন পরিবর্তন করে অন্য লেনে চলে আসায় এ দুর্ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনার পর বাসচালককে আটক করা হয়েছে। দুর্ঘটনাকবলিত বাস ও অটোরিকশা করিমপুর থানায় এনে রাখা হয়েছে। এ ঘটনায় সড়ক দুর্ঘটনা নিয়ন্ত্রণ আইনে একটি মামলা প্রক্রিয়াধীন।