কেরানীগঞ্জে আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে আগুন, নিহত ১

নিহতপ্রতীকী ছবি

ঢাকার কেরানীগঞ্জে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অসহযোগ কর্মসূচিকে ঘিরে আন্দোলনকারীদের সঙ্গে আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের মধ্যে আজ রোববার দুপুরে পাল্টাপাল্টি ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। একপর্যায়ে আন্দোলনকারীরা কেরানীগঞ্জ মডেল থানা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ের প্রধান ফটকে আগুন ধরিয়ে দেন। এ সময় অফিসের ভেতর আটকা পড়ে আওয়ামী লীগ কর্মী মো. ইফতি (৩২) নামের একজন নিহত ও প্রায় ১৫ জন আহত হন।

পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, সকাল সাড়ে ১০টার দিকে আন্দোলনকারীরা বিভিন্ন এলাকা থেকে এসে আটি-ভাওয়াল সড়ক এলাকায় জড়ো হতে থাকেন। এ সময় তাঁরা শান্তিপূর্ণভাবে মিছিল নিয়ে কেরানীগঞ্জের বছিলা সেতুর অভিমুখে যাত্রা করেন। মিছিলটি আটি–ভাওয়াল সড়কের মধুসিটি আবাসন প্রকল্প এলাকায় পৌঁছালে আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা লাঠিসোঁটা নিয়ে আন্দোলনকারীদের ধাওয়া করেন। পরে তাঁদের ওপর হামলা চালান। এ সময় চার–পাঁচটি গুলির শব্দ শোনা যায়। এতে আন্দোলনকারীরা ছত্রভঙ্গ হয়ে যান। পরে আন্দোলনকারীরা আবারও জড়ো হয়ে আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের পাল্টা ধাওয়া করেন। এ সময় আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা ঘটনাস্থল থেকে নিরাপদে চলে যান।

একপর্যায়ে দুপুর ১২টার দিকে আন্দোলনকারীরা মধুসিটি এলাকা থেকে ঘাটারচর এলাকায় যান। এ সময় বিক্ষুব্ধ আন্দোলনকারীরা ঘাটারচর এলাকায় অবস্থিত কেরানীগঞ্জ মডেল থানা আওয়ামী লীগের কার্যালয়ের প্রধান ফটক ও কার্যালয়ের ভেতরে ঢুকে ভাঙচুর চালান। এ সময় কার্যালয়ের অভ্যন্তরে অবস্থানকারী আওয়ামী লীগের কর্মীরা অবরুদ্ধ হয়ে পড়েন। পরে বিক্ষুব্ধ আন্দোলনকারীরা কার্যালয়ের প্রধান ফটকে আগুন ধরিয়ে দেন। এ সময় অফিস থেকে বের হলে ইফতি নামের একজন মারা যান। এ ছাড়া ১৫–২০ জন গুরুতর আহত হন। তাঁদের মধ্যে অনেকের অবস্থা আশঙ্কাজনক। আহত ব্যক্তিরা বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি আছে। এ ঘটনা ছাড়া ঘাটারচর এলাকায় সড়কের পাশে রাখা পাঁচটি মোটরসাইকেলে আগুন দেওয়া হয়।

কেরানীগঞ্জ মডেল থানা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক তারেকুল ইসলাম বলেন, কোটা আন্দোলনের আড়ালে বিএনপি জমায়াতের নেতা–কর্মীরা তাঁদের কার্যালয়ে ভাঙচুর ও হামলা করেন।

অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (কেরানীগঞ্জ সার্কেল) শাহাবুদ্দীন কবীর বলেন, নাশকতাকারীরা শুধু হামলা করেনি, পিটিয়ে ১ জনকে হত্যা ও ১৫ জনকে আহত করেছে। এ ছাড়া বিভিন্ন স্থাপনা ভাঙচুর করেছে।