রাঙামাটির বিলাইছড়িতে দুর্বৃত্তদের গুলিতে ইউপি চেয়ারম্যান আহত

গুলিবিদ্ধ ইউপি চেয়ারম্যান আতোমং মারমাকে আজ সকালে রুমা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে বান্দরবান সদর হাসপাতালে নেওয়া হয়ছবি: সংগৃহীত

রাঙামাটির বিলাইছড়ি উপজেলার বড়থলি ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান আতোমং মারমা দুর্বৃত্তদের গুলিতে আহত হয়েছেন। গতকাল মঙ্গলবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে বড়থলি মারমা পাড়ায় এ ঘটনা ঘটে।

আজ বুধবার সকালে আহত আতোমং মারমাকে চিকিৎসার জন্য বান্দরবান সদর হাসপাতালে আনা হয় বলে জানিয়েছে পুলিশ।

গতকাল বিলাইছড়ি উপজেলা পরিষদের নির্বাচনে ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। নির্বাচনের আনুষ্ঠানিকতা শেষে বড়থলি মারমা পাড়ার একটি মাচাং বাড়িতে (খুঁটির ওপর নির্মিত বাড়ি) খাওয়াদাওয়ার আয়োজন করা হয়। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, রাত সাড়ে ১১টার দিকে খাওয়াদাওয়া করার সময় মাচাং বাড়ির নিচে থেকে হঠাৎ দুর্বৃত্তরা গুলি করে পালিয়ে যায়। আতোমং মারমার পায়ে গুলি লাগে। এলাকাটি অতি দুর্গম হওয়ায় রাতে তাঁকে হাসপাতালে আনা সম্ভব হয়নি। আজ ভোরে স্থানীয় লোকজন তাঁকে বহন করে রুমা উপজেলা স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে যান।  

আজ সকাল সাড়ে নয়টার দিকে বিলাইছড়ি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আখতার হোসেন জানান, রাত সাড়ে ১১টার দিকে চেয়ারম্যান আতোমং মারমাকে মাচাং ঘরের মাচাংয়ের নিচে থেকে কে বা কারা গুলি করেছে জানা যায়নি। আজ সকালে তাঁকে রুমা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়। পরে তাঁকে বান্দরবান সদর হাসপাতালে আনা হয়। তাঁকে চট্টগ্রামে নেওয়ার ব্যবস্থা করা হচ্ছে।

বড়থলি ইউনিয়নটি রাঙামাটির বিলাইছড়ি উপজেলায় অবস্থিত। উপজেলা সদর থেকে এর দূরত্ব ৬০ কিলোমিটার এবং অনেকটাই যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন। বান্দরবানের রুমা উপজেলা সদর থেকে বড়থলির দূরত্ব ২০ কিলোমিটার। লোকজন রুমা ও বান্দরবান জেলা সদর হয়ে বিলাইছড়িতে যাতায়াত করেন। ইউনিয়নটি অত্যন্ত দুর্গম ও যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হওয়ায় নির্বাচনসংক্রান্ত কাজ হেলিকপ্টারে করা হয়।