জয়পুরহাটে হত্যা মামলায় স্বামী-স্ত্রীসহ তিনজনের যাবজ্জীবন

জয়পুরহাট জেলার মানচিত্র

জয়পুরহাটের পাঁচবিবিতে মুরশিদা খাতুন হত্যা মামলায় স্বামী-স্ত্রীসহ তিনজনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও প্রত্যেককে ১০ হাজার টাকা করে জরিমানা, অনাদায়ে আরও এক বছর কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। আজ বুধবার দুপুরে জ্যেষ্ঠ জেলা ও দায়রা জজ নূর ইসলাম এ রায় দেন। আদালতের সরকারি কৌঁসুলি নৃপেন্দ্রনাথ মণ্ডল প্রথম আলোকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্ত তিনজন হলেন পাঁচবিবি উপজেলার হরেন্দ্রা গ্রামের আতাউল ওরফে আতাউর (৬৫), তাঁর স্ত্রী মেরিনা বেগম (৫০) ও একই গ্রামের আমজাদ হোসেন (৬০)।

মামলার সংক্ষিপ্ত নথি থেকে জানা যায়, পাঁচবিবি উপজেলার আজরা সিধুইল গ্রামের মৃত মোকছেদ আলীর মেয়ে মুরশিদা খাতুন। বাবা মারা যাওয়ার পর মুরশিদা ১৮ হাজার টাকা ভাগ পান। এ টাকা আত্মসাৎ করতে মুরশিদাকে বিয়ে দেওয়ার কথা বলে ২০০০ সালের ১১ এপ্রিল নিজ বাড়ি থেকে সৎমায়ের আত্মীয় হরেন্দা গ্রামের আতাউর রহমান তাঁর বাড়িতে নিয়ে যান। সেখান মুরশিদাকে মারধরের পর তাঁর মুখে বিষ ঢেলে দিয়ে হত্যা করা হয়। ১৩ এপ্রিল দুপুরে মুরশিদা বিষপানে আত্মহত্যা করেছেন বলে তাঁদের বাড়িতে খবর দেওয়া হয়। স্বজনেরা এসে মুরশিদার লাশ দেখে হত্যা বলে সন্দেহ করেন।

এ ঘটনায় নিহত মুরশিদার মা খালেদা বেওয়া বাদী হয়ে তিনজনের নামে পাঁচবিবি থানায় একটি হত্যা মামলা করেন। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পাঁচবিবি থানার তৎকালীন উপপরিদর্শক আবু ওবায়দা খান ২০০১ সালের ১৪ জুলাই তিনজনের নামে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। সাক্ষ্য–প্রমাণ ও শুনানি শেষে আদালত এ রায় দেন।