লক্ষ্মীপুরে বিএনপি নেতা এ্যানিসহ ৩ জনের নামে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা, ৯ নেতা কারাগারে

কারাগার
প্রতীকী ছবি

লক্ষ্মীপুরে পুলিশের দুই মামলায় বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানিসহ তিনজনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছে আদালত। একই মামলায় জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক হাছিবুর রহমানসহ ৯ জনের জামিন নামঞ্জুর করে তাঁদের কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

আজ রোববার অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক সৈয়দা আমিনা ফারহিন এ নির্দেশ দেন। এর আগে দুপুর ১২টার দিকে আত্মসমর্পণ করার জন্য আদালতে আসেন হাছিবুর রহমানসহ ৯ নেতা। তাঁদের কারাগারে নেওয়ার সময় বিএনপি ও এর সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীরা বিক্ষোভ করেন। সকাল থেকে দলীয় সমর্থকেরা সেখানে ভিড় করেন। এ সময় উত্তেজিত জনতা সরকারবিরোধী বিভিন্ন স্লোগান দেন।

জামিন নামঞ্জুর হওয়া অপর আটজনের মধ্যে ছয়জনের পরিচয় পাওয়া গেছে। তাঁরা হলেন জেলা ছাত্রদলের সভাপতি হাসান মাহমুদ ইব্রাহিম, সহসভাপতি আবদুর রহমান, নাদিম মাহমুদ, সাধারণ সম্পাদক আবদুল্লাহ আল মামুন, লক্ষ্মীপুর পৌর ছাত্রদলের আহ্বায়ক আবুল বারাকাত ও সদর থানা ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক বায়েজীদ ভূঁইয়া।

জেলা জজ আদালতের সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) জসিম উদ্দিন বলেন, আদালত ৯ নেতার জামিন আবেদন নাকচ করে তাঁদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন। একই মামলায় আদালতে অনুপস্থিত থাকায় শহীদ উদ্দিন চৌধুরী, বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আবুল খায়ের ভূঁইয়া ও সদস্যসচিব সাহাব উদ্দিনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছে আদালত।

আসামিপক্ষের আইনজীবী ও লক্ষ্মীপুর আইনজীবী সমিতির সভাপতি আহমেদ ফেরদৌস মানিক বলেন, ‘শহীদ উদ্দিন চৌধুরীসহ তিন নেতা অসুস্থ। কিন্তু আদালত তাঁদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন। অসুস্থতার কারণে তাঁদের জন্য সময় চেয়েছিলাম। দেশে আইনের শাসন নেই বলেই এমন ঘটনা ঘটছে। গত ২৭ জুলাই উচ্চ আদালত পুলিশের দুই মামলায় এ্যানিসহ ১২ জনকে চার সপ্তাহের জন্য জামিন দিয়েছেন।’

পুলিশ জানায়, গত ১৮ জুলাই লক্ষ্মীপুরে ত্রিমুখী সংঘর্ষ ও সজীব হত্যার ঘটনায় সদর মডেল থানায় গত ১৯ জুলাই রাতে চারটি পৃথক মামলা করা হয়েছে। দায়িত্ব পালনে বাঁধাসহ পুলিশকে আহত করার ঘটনায় সদর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মোজাম্মেল হোসেন বাদী হয়ে বিএনপি নেতা এ্যানি চৌধুরীকে প্রধান করে ২৫ জনের নাম উল্লেখ ও অজ্ঞাতনামা ১ হাজার ৫০০ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন। বিস্ফোরক ও নাশকতার ঘটনায় বিশেষ ক্ষমতা আইনে সদর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) আনিছুর রহমান বাদী হয়ে আরও একটি মামলা করেন। এ মামলায়ও বিএনপি নেতা এ্যানি চৌধুরীকে প্রধান করে ৩০ জনের নাম উল্লেখ ও অজ্ঞাতনামা ১ হাজার ৫০০ জনকে আসামি করা হয়েছে।