নওগাঁয় মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে প্রতারণার অভিযোগে দুই ব্যক্তি গ্রেপ্তার

প্রতারণার অভিযোগে গ্রেপ্তার জুয়েল খান ও মিল্টন বিশ্বাস
ছবি: সংগৃহীত

তিন বছর আগে বিকাশ প্রতারক চক্রের মাধ্যমে নওগাঁয় কর্মরত এক বিচারক প্রতারণার শিকার হন। ওই ঘটনায় করা মামলায় বিকাশের এক কর্মকর্তাসহ দুজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)।

গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন ফরিদপুর সদর উপজেলার উত্তর কমলাপুর এলাকার বাসিন্দা জুয়েল খান (৩০) ও ফরিদপুরের মধুখালী উপজেলার নিশ্চিন্তপুর গ্রামের বাসিন্দা মিল্টন বিশ্বাস। গ্রেপ্তার জুয়েল খান ফরিদপুর বিকাশ ডিস্ট্রিবিউশন অফিসের সুপারভাইজার। অন্যদিকে জুয়েলের সহযোগী মিল্টন।

গতকাল মঙ্গলবার তাঁদের ফরিদপুরের কোতোয়ালি উপজেলার কমলাপুর এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করে পিবিআই নওগাঁ। পরে তাঁদের আদালতে নেওয়া হলে দুজন স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন। আজ বুধবার দুপুরে পিবিআই নওগাঁ কার্যালয় থেকে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, ২০১৯ সালে নওগাঁয় কর্মরত একজন বিচারকের ব্যক্তিগত বিকাশ নম্বর থেকে প্রতারণার মাধ্যমে প্রতারক চক্র ২ দফায় ৭৯ হাজার ৯৮৩ টাকা আত্মসাৎ করে। এ ঘটনায় ওই বিচারকের অফিস সহকারী বাদী হয়ে ২০২০ সালের ৩ মার্চ নওগাঁ সদর মডেল থানায় মামলা করেন। থানা–পুলিশ প্রাথমিকভাবে মামলাটি তদন্ত করে মামলার মূল রহস্য উদ্‌ঘাটন করতে ব্যর্থ হয়। পরে উচ্চ আদালত মামলার নথি পর্যালোচনা করে অধিকতর তদন্তের জন্য পিবিআইকে নির্দেশ দেন। মামলাটি গ্রহণের পর তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় প্রতারক চক্রের মূল হোতা বিকাশ কর্মকর্তা জুয়েল খানসহ দুজনকে গ্রেপ্তার করে পিবিআই।

পিবিআই নওগাঁর পুলিশ সুপার নয়মুল হাসান বলেন, গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা পরস্পরের যোগসাজশে বিভিন্ন বিকাশ এজেন্ট পয়েন্ট থেকে গ্রাহকদের বিকাশ নম্বর সংগ্রহ করতেন। পরে তাঁরা গ্রাহকদের সঙ্গে কথা বলে কৌশলে পিন নম্বর সংগ্রহ করে ক্যাশআউট করে টাকা হাতিয়ে নেন। এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত অন্য আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।