নোয়াখালীতে ছাত্রদল ও আওয়ামী লীগ নেতার বাড়িতে হামলা-ভাঙচুর
নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা ছাত্রদলের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জাহিদ হোসেন ওরফে শাহেদের বাড়িতে হামলা ও ভাঙচুরের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ সময় হামলাকারীরা শাহেদের বড় ভাই বসুরহাট পৌর আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও সাবেক কাউন্সিলর মোশারেফ হোসেন ওরফে নাহিদের বসতঘরও ভাঙচুর করে।
গতকাল সোমবার রাত ১০টার দিকে উপজেলার বসুরহাট পৌরসভার ২ নম্বর ওয়ার্ডের রামদি এলাকার এই দুই নেতার বাড়িতে এই হামলা-ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে।
জাহিদ হোসেন প্রথম আলোকে বলেন, ‘গতকাল রাত ১০টার দিকে বসুরহাট পৌর ছাত্রলীগের একদল নেতা-কর্মী ২ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর আবুল হোসেন আরজুর নেতৃত্বে আমাদের বাড়ির সামনে অবস্থান নেন। সেখানে তাঁরা আমার বিরুদ্ধে রাজনৈতিক স্লোগান দেন। এরপর ককটেল বিস্ফোরণ ঘটিয়ে আমাদের তিনটি বসতঘরে ব্যাপক ভাঙচুর চালান। এর মধ্যে আমার বড় ভাই আওয়ামী লীগ নেতা সাবেক কাউন্সিলর মোশারেফ হোসেন নাহিদের বসতঘরও ভাঙচুর করেন তাঁরা।’
জাহিদ হোসেন বলেন, ‘ছাত্রলীগ নেতা-কর্মীরা আমাদের বাড়ির সামনে অবস্থান নিলে আমি কাউন্সিলর আরজুকে একাধিকবার ফোন করি। কিন্তু তিনি আমার ফোন ধরেননি। পরে জানতে পারি, তাঁর নেতৃত্বে ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা রাজনৈতিক প্রতিহিংসার বশবর্তী হয়ে এই হামলা চালিয়েছেন।’
বসতঘর ভাঙচুরের বিষয়ে কথা বলতে ছাত্রদল নেতা জাহিদের ভাই বসুরহাট পৌর আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মোশারেফ হোসেনের মুঠোফোনে একাধিকবার কল দেওয়া হলেও তিনি সাড়া দেননি।
অভিযোগের বিষয়ে কাউন্সিলর আবুল হোসেন প্রথম আলোকে বলেন, তিনি গতকাল এলাকায় ছিলেন না। তাঁদের অভিযোগ একেবারেই মিথ্যা ও বানোয়াট।
কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও বসুরহাট পৌরসভার মেয়র আবদুল কাদের মির্জা প্রথম আলোকে বলেন, ঘটনাটি তিনি শুনেছেন। সেখানে স্থানীয় কিছু জটিলতা হয়েছে। বিষয়টি তিনি দেখছেন।
কোম্পানীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সাদেকুর রহমান বলেন, ওদের পারিবারিক ঝামেলা আছে। হামলা-ভাঙচুরের খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। অভিযোগ পেলে তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।