ইমো হ্যাক করে টাকা হাতিয়ে নেওয়ায় দুজনের ১০ বছর কারাদণ্ড

আদালতপ্রতীকী ছবি

রাজশাহীতে ম্যাসেজিং অ্যাপ ইমো হ্যাক করে অর্থ হাতিয়ে নেওয়ার একটি ঘটনায় দুই তরুণকে ১০ বছর করে কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। আজ মঙ্গলবার সকালে রাজশাহী সাইবার ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. জিয়াউর রহমান এ রায় দেন। অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় রায়ে আদালত মামলার অন্য সাত আসামিকে বেকসুর খালাস দিয়েছেন।

দণ্ডপ্রাপ্ত দুই আসামি হলেন রাজশাহীর বাঘা উপজেলার চক নারায়ণপুর গ্রামের হৃদয় আলী (২১) ও নাটোরের লালপুর উপজেলার বিরোপাড়া গ্রামের আরিফুল ইসলাম ওরফে আরিফ (২৫)।

রাজশাহী সাইবার ট্রাইব্যুনালের রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী ইসমত আরা প্রথম আলোকে বলেন, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের একটি ধারায় আসামিদের পাঁচ বছর করে সশ্রম কারাদণ্ড দেন আদালত। একই সঙ্গে তাদের ১ লাখ টাকা করে জরিমানা করা হয়। জরিমানার অর্থ অনাদায়ে আরও তিন মাস করে বিনাশ্রম কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত। অপর একটি ধারায় দুজনকে একই ধরনের সাজা দিয়েছেন আদালত। অর্থাৎ দুটি ধারায় মোট ১০ বছর করে কারাদণ্ড এবং ২ লাখ টাকা করে অর্থদণ্ড দেওয়া হয়েছে আসামিদের। সাজা একটার পর অন্যটা কার্যকর হবে।

আরও পড়ুন

আইনজীবী ইসমত আরা জানান, ঢাকার সবুজবাগের আবদুল মালেক নামের এক ব্যক্তি এ মামলার বাদী। ২০২৩ সালের ২ মার্চ নাটোরের লালপুর থানায় তিনি এ মামলা করেন। মামলার অভিযোগে তিনি উল্লেখ করেন, তাঁর ভগ্নিপতি জাকির হোসেন সৌদিপ্রবাসী। জাকির তাঁর স্ত্রী ফাতেমা খাতুনের সঙ্গে ইমোতে যোগাযোগ করতেন। ২০২৩ সালের ১৩ ফেব্রুয়ারি দুর্বৃত্তরা জাকির হোসেনের ইমো নম্বর হ্যাক করে ফাতেমাকে ‘বিপদের’ কথা জানায়। এরপর ফাতেমার কাছ থেকে বিকাশের মাধ্যমে ৫৫ হাজার টাকা হাতিয়ে নেয়।

আরও পড়ুন

আবদুল মালেক খোঁজখবর নিয়ে জানতে পারেন, যে বিকাশ নম্বরে টাকা নেওয়া হয়েছে, তা রাজশাহীর বাঘা উপজেলায় নিবন্ধিত। বিষয়টি তিনি র‌্যাবকে অবহিত করলে র‌্যাব এ প্রতারণার সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের শনাক্ত করে। পরে পাঁচজনকে র‌্যাব আটক করলে মালেক বাদী হয়ে মামলা করেন। এ মামলায় সাক্ষ্য গ্রহণ শেষে আদালত দুজনকে দোষী সাব্যস্ত করে রায় দিলেন।

রায় ঘোষণার সময় আসামিরা আদালতের কাঠগড়ায় উপস্থিত ছিলেন। পরে দণ্ডপ্রাপ্ত দুজনকে কারাগারে পাঠানো হয়।

আরও পড়ুন