উল্লাপাড়ায় প্রতিপক্ষের হামলায় একজন নিহত, সংঘর্ষে আহত ৬

নিহত জামাল উদ্দিনের মায়ের আহাজারি। আজ রোববার দুপুরে উপজেলার লাহিড়ী মোহনপুর ইউনিয়নের এলংজানি দত্তপাড়া গ্রামে
ছবি: প্রথম আলো

সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়ায় পুকুর ও জমিসংক্রান্ত বিরোধের জেরে দুই পক্ষের সংঘর্ষে জামাল উদ্দিন (৪৮) নামের এক ব্যক্তি নিহত হয়েছেন। আজ রোববার সকাল ১০টার দিকে উপজেলার লাহিড়ী মোহনপুর ইউনিয়নের এলংজানি দত্তপাড়া গ্রামের বটতলা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এ সময় জামাল উদ্দিনের পক্ষের ছয়জন আহত হয়েছেন।  

এদিকে সংঘর্ষের ঘটনার পর প্রতিপক্ষের ছয়জনকে আটক করেছে পুলিশ। উল্লাপাড়া মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নজরুল ইসলাম বিষয়টি প্রথম আলোকে নিশ্চিত করেছেন।
নিহত জামাল উদ্দিন এলংজানি দত্তপাড়া গ্রামের মোশাররফ হোসেনের ছেলে। সংঘর্ষের ঘটনায় নিহত জামালের বাবা মোশাররফ হোসেনসহ অন্তত ছয়জন আহত হয়েছেন। আহত ব্যক্তিদের মধ্যে পাঁচজনের পরিচয় পাওয়া গেছে। তাঁরা হলেন মোশারফ হোসেন (৭৫), মুকুল হোসেন (৪৫), শাহ আলম (৪৮),  ইমরান হোসেন (২৩), জুলমত আলী (৬০)। তাঁদের সিরাজগঞ্জ সদর হাসপাতাল ও বগুড়া শহীদ জিয়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

পুলিশ ও স্থানীয় লোকজনের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, এলংজানি দত্তপাড়া গ্রামের ঠান্ডু মোল্লার সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরে মোতালেব হোসেন ও মোশাররফ হোসেনের পুকুর এবং জমি নিয়ে বিরোধ চলছিল। এর মধ্যে আজ সকালে মোশাররফের ছেলে জামাল উদ্দিন বাড়ি থেকে লাহিড়ী মোহনপুর যাচ্ছিলেন। এ সময় গ্রামের বটতলার এলাকায় ঠান্ডু মোল্লার লোকজন রড ও বাঁশের লাঠি দিয়ে জামালকে বেধড়ক মারধর করেন। এ সময় জামাল গুরুতর আহত হয়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়লে ঘটনাস্থলেই তাঁর মৃত্যু হয়।

খবর পেয়ে মোশাররফ হোসেনসহ তাঁর লোকজন দৌড়ে সেখানে গেলে প্রতিপক্ষের লোকজন আবার হামলা চালান। এ সময় দুই পক্ষের লোকজন সংঘর্ষে জড়ান। এতে জামালের বাবা মোশাররফ হোসেনসহ অন্তত ছয়জন আহত হন। পরে স্থানীয় লোকজন আহত ব্যক্তিদের উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যান। খবর পেয়ে পুলিশ ওই এলাকা থেকে ছয়জনকে আটক করে।

এ ঘটনার পর থেকে ঠান্ডু মোল্লা পলাতক। তাই অভিযোগের বিষয়ে তাঁর বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
উল্লাপাড়া মডেল থানার ওসি নজরুল ইসলাম বলেন, হামলা-সংঘর্ষের খবর পেয়ে ওই এলাকায় পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। এর আগে ওই এলাকা থেকে ছয়জনকে আটক করা হয়েছে। নিহত ব্যক্তির লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য সিরাজগঞ্জ ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। নিহত ব্যক্তির মাথায় ও ঊরুতে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। রড দিয়ে আঘাত করা হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। এ ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে।