ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা পরিষদের মেধাবৃত্তি প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক। শুক্রবার বিকেলে জেলা পরিষদ চত্বরে
ছবি: প্রথম আলো

সংবিধান অনুযায়ী কেউ নির্বাচনে অংশ না নিলে সেটা তাদের সিদ্ধান্ত বলে মন্তব্য করেছেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক। তিনি বলেছেন, ‘আশা করব, সংবিধান অনুযায়ী সবাই নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবে। কিন্তু কেউ যদি না করে সেটা তাদের নিজস্ব সিদ্ধান্ত। সে ব্যাপারে আমার কোনো নিজস্ব বক্তব্য নেই।’

আজ শুক্রবার বিকেলে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা পরিষদের উদ্যোগে আয়োজিত মেধাবৃত্তি প্রদান অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে আইনমন্ত্রী এসব কথা বলেন। জেলা পরিষদ চত্বরে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক।

অনুষ্ঠানে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবার হত্যার পর এ দেশকে একটি ব্যর্থ রাষ্ট্র করার অনেক চেষ্টা হয়েছিল। এসব আলবদর-রাজাকার আমাদের মা-বোনদের সম্ভ্রম নষ্ট করেছে, বীর মুক্তিযোদ্ধাদের হত্যা করেছে। আর বাংলাদেশের পতাকা উড়িয়েছে। পাকিস্তানি বাহিনীর সঙ্গে সম্পর্ক রাখার পরও তারা যখন আবার ক্ষমতায় আসে, তারা সব সম্পত্তি ফিরে পেয়েছে এবং দাপটের সঙ্গে দেশটাকে লুণ্ঠন করেছে। সবকিছু করার পরও তারা ইতিহাস বিকৃত করেছে। বঙ্গবন্ধুকে সঠিক জায়গা তারা দিতে চায়নি।’

শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে মন্ত্রী বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন। আপনারা এই মর্যাদা শুধু ধরে রাখবেন না, ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে উন্নত দেশে রূপান্তর করতে প্রধানমন্ত্রীকে সহযোগিতা করবেন। বইপুস্তকে আবদ্ধ থাকলে চলবে না। শিক্ষা মানেই হচ্ছে মনকে প্রসারিত করা। নিজের চোখ দিয়ে আরও বেশি দেখা। বাংলাদেশের দায়িত্ব আপনাদের নিতে হবে। এই দায়িত্ব আপনারা নিতে পারবেন এটা আমি বিশ্বাস করি।’

জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আল মামুন সরকারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৩ (সদর ও বিজয়নগর) আসনের সংসদ সদস্য ও জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী। এতে অন্যদের মধ্যে জেলা প্রশাসক মো. শাহগীর আলম, পুলিশ সুপার মোহাম্মদ শাখাওয়াত হোসেন, ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌরসভার মেয়র নায়ার কবির উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী এম এম মাহমুদুর রহমান।

জেলা পরিষদ সূত্রে জানা গেছে, ২০২২-২৩ অর্থবছরে এসএসসি পর্যায়ে জেলার ২০৮ জন এবং এইচএসসি পর্যায়ের ১২২ শিক্ষার্থীকে মেধাবৃত্তি দেয় জেলা পরিষদ। এর মধ্যে এসএসসি পর্যায়ের শিক্ষার্থীদের ৭ হাজার টাকা করে এবং এইচএসসি পর্যায়ের শিক্ষার্থীদের ১০ হাজার টাকা করে মোট ২৬ লাখ ৭৬ হাজার টাকার মেধাবৃত্তি দেওয়া হয়। এ ছাড়া ৩০ জন বুদ্ধিপ্রতিবন্ধী, ১০ জন বধির ও ৪ দৃষ্টিপ্রতিবন্ধীকে ২ হাজার টাকা করে মেধাবৃত্তি দেওয়া হয়।