জামালপুরে সন্ত্রাসীদের হামলায় সাংবাদিক নিহত

সাংবাদিক গোলাম রব্বানি
ছবি: সংগৃহীত

জামালপুরের বকশীগঞ্জ উপজেলায় সন্ত্রাসীদের হামলায় গোলাম রব্বানি নাদিম নামের এক সাংবাদিক নিহত হয়েছেন। আজ বৃহস্পতিবার বেলা আড়াইটার দিকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাঁর মৃত্যু হয়। এর আগে গতকাল বুধবার দিবাগত রাত ১০টার দিকে বকশীগঞ্জ উপজেলার পাটহাটি এলাকায় হামলার শিকার হন তিনি।

সাংবাদিক গোলাম রব্বানি অনলাইন পোর্টাল ‘বাংলা নিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের’ জামালপুর জেলা প্রতিনিধি ছিলেন। একই সঙ্গে তিনি বকশীগঞ্জ উপজেলার সংবাদ সংগ্রাহক হিসেবে কাজ করতেন। তিনি ওই উপজেলার নিলাখিয়া ইউনিয়নের গোমের চর গ্রামের আবদুল করিমের ছেলে।

নিহত সাংবাদিকের পরিবার ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গতকাল রাত ১০টার দিকে পেশাগত দায়িত্ব পালন শেষে বাড়িতে ফিরছিলেন সাংবাদিক গোলাম রব্বানি। পথে বকশীগঞ্জের পাটহাট এলাকায় তাঁর ওপর হামলা করে একদল সন্ত্রাসী। এ সময় তাঁকে ব্যাপক মারধর করা হয়। একপর্যায়ে তিনি অচেতন হয়ে পড়লে সন্ত্রাসীরা তাঁকে ফেলে পালিয়ে যায়। স্থানীয় লোকজন গুরুতর আহত অবস্থায় তাঁকে উদ্ধার করে বকশীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। অবস্থা সংকটাপন্ন হওয়ায় উন্নত চিকিৎসার জন্য রাতেই তাঁকে জামালপুর জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়। সেখানেও অবস্থার অবনতি হলে আজ সকালে তাঁকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় দুপুরে তাঁর মৃত্যু হয়।

আরও পড়ুন

নিহত গোলাম রব্বানির স্ত্রী মনিরা বেগম সাংবাদিকদের কাছে অভিযোগ করে বলেন, সংবাদ প্রকাশকে কেন্দ্র করে বকশীগঞ্জের সাধুরপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান মাহমুদুল আলম তাঁর (গোলাম রব্বানি) ওপর অসন্তুষ্ট হয়েছিলেন। আগেও তিনি নানাভাবে হেনস্তা করার চেষ্টা করেছেন। ওই ইউপি চেয়ারম্যানের লোকজনই হামলা করে তাঁকে হত্যা করেছেন। তিনি এ ঘটনায় জড়িত ব্যক্তিদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেছেন।

অভিযোগের বিষয়ে সাধুরপাড়া ইউপির চেয়ারম্যান মাহমুদুল আলমের মুঠোফোনের একাধিকবার ফোন দিয়েও বন্ধ পাওয়ায় তাঁর বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

জানতে চাইলে জামালপুরের পুলিশ সুপার নাছির উদ্দিন আহমেদ প্রথম আলোকে বলেন, নিহত সাংবাদিকের ওপর হামলাকারীদের সিসিটিভি ফুটেজের মাধ্যমে শনাক্ত করা হয়েছে। ইতিমধ্যে পুলিশের পাঁচটি দল মাঠে কাজ করছে। দ্রুত সময়ের মধ্যে হামলাকারীদের গ্রেপ্তার করা হবে। ওই সাংবাদিকের চিকিৎসার জন্য স্বজনেরা ব্যস্ত থাকায় এখনো থানায় মামলা হয়নি।