ওএমএসের চাল কালোবাজারে বিক্রি, পরিবেশককে জরিমানা

নোয়াখালী জেলার মানচিত্র

নোয়াখালীর সুবর্ণচর উপজেলায় খোলাবাজারে খাদ্যপণ্য বিক্রির (ওএমএস) কর্মসূচির চাল কালোবাজারে বিক্রির অপরাধে এক পরিবেশককে ১৪ হাজার ৬০০ টাকা জরিমানা করেছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও)। আজ মঙ্গলবার ইউএনওর কার্যালয়ে তাঁকে জরিমানা করা হয়।

এর আগে সকাল নয়টায় উপজেলার পূর্ব চরবাটা ইউনিয়নের যোবায়ের বাজার থেকে তাঁকে আটক করা হয়। ওই পরিবেশকের নাম মো. কামরুল হোসেন (৪২)। আটকের পর তাঁকে জরিমানা করা হয়। এ ঘটনায় তাঁর ডিলারশিপ বাতিলের বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন।

জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রকের কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, সুবর্ণচর উপজেলার পূর্ব চরবাটা ইউনিয়নের যোবায়ের বাজারের ওএমএসের পরিবেশক কামরুল হোসেনের বিরুদ্ধে বেশ কিছুদিন ধরে ওমএমএস কর্মসূচির চাল সুবিধাভোগীদের মাঝে বিক্রি না করে বেশি দামে অন্যত্র বিক্রি করে দেওয়ার অভিযোগ পাওয়া যাচ্ছিল। ওই অভিযোগের ভিত্তিতে আজ সকালে জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক হুমায়ুন কবির উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রককে নিয়ে পরিবেশক কামরুল হোসেনের বিক্রয়কেন্দ্রে ঝটিকা অভিযান পরিচালনা করেন। এ সময় বিক্রির জন্য সেখানে যে পরিমাণ চাল থাকার কথা, তার চেয়ে ২০০ কেজি কম পাওয়া যায়। চাল কম কেন জানতে চাইলে পরিবেশক কামরুল হোসেন কোনো সদুত্তর দিতে পারেননি।

পরে ওএমএসের পরিবেশক কামরুল হোসেনকে আটক করে ইউএনওর কার্যালয়ে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে ইউএনও চৈতি সর্ববিদ্যা ও খাদ্য বিভাগের কর্মকর্তারা ওএমএস নীতিমালা পর্যালোচনা করে কামরুল হোসেনকে ২০০ কেজি চালের সরকারি মূল্যের দ্বিগুণ টাকা, অর্থাৎ ১৪ হাজার ৬০০ টাকা জরিমানা করেন। বিকেলে তিনি জরিমানার অর্থ পরিশোধ করে ছাড়া পান।

জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক হুমায়ুন কবির প্রথম আলোকে বলেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে পরিবেশক কামরুল হোসেনের বিক্রয়কেন্দ্রে গিয়ে ওএমএসের চাল নয়ছয় করার বিষয়টি তিনি জানতে পারেন। তাই কাউকে না জানিয়ে আজ সকালে তিনি নিজেই কামরুল হোসেনের ওএমএস বিক্রয়কেন্দ্রে অভিযান চালান।

হুমায়ুন কবির আরও বলেন, অভিযুক্ত ওএমএসের পরিবেশক কামরুল হোসেনের অনিয়মের বিষয়ে উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রককে দ্রুত একটি প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে। প্রতিবেদন হাতে পাওয়ার পর তাঁর ডিলারশিপ বাতিল করা হবে।