গোমতীতে শেখ রাসেল সাঁতার প্রতিযোগিতায় সেনা ও নৌবাহিনীর সাঁতারুদের জয়

কুমিল্লার গোমতী নদীতে শেখ রাসেল ১৯তম জাতীয় দূরপাল্লা সাঁতার প্রতিযোগিতায় পুরুষ ও নারী বিভাগে প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় হয়েছেন সেনাবাহিনী ও নৌবাহিনীর সাঁতারুরা। বাংলাদেশ সুইমিং ফেডারেশনের ব্যবস্থাপনায় ও বাংলাদেশ নৌবাহিনীর সহযোগিতায় বুধবার গোমতী নদীর বুড়িচং উপজেলার কংসনগর থেকে দেবীদ্বার পর্যন্ত এ সাঁতার প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়।

পুরুষ বিভাগে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ফয়সাল আহম্মেদ প্রথম (সময় নিয়েছেন ১ ঘণ্টা ৩৯ মিনিট ৪৫ সেকেন্ড), বাংলাদেশ নৌবাহিনীর পলাশ চৌধুরী দ্বিতীয় (১ ঘণ্টা ৪০ মিনিট ১০ সেকেন্ড) ও বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর জুয়েল আহম্মেদ তৃতীয় (১ ঘণ্টা ৪৪ মিনিট ২৭ সেকেন্ড) হয়েছেন।

নারী বিভাগে বাংলাদেশ নৌবাহিনীর সোনিয়া আক্তার প্রথম (সময় নিয়েছেন ১ ঘণ্টা ১৩ মিনিট ২০ সেকেন্ড), বাংলাদেশ নৌবাহিনীর সুরাইয়া আক্তার দ্বিতীয় স্থান (১ ঘণ্টা ১৪ মিনিট ৪৫ সেকেন্ড) ও  বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর মুক্তি খাতুন তৃতীয় (১ ঘণ্টা ১৮ মিনিট ৫ সেকেন্ড) হন।

আয়োজকেরা জানিয়েছেন, গত ২৮ মে রাজধানীর বনানীতে বাংলাদেশ নৌবাহিনী সুইমিংপুলে উন্মুক্ত বাছাইয়ের মাধ্যমে সাতজন পুরুষ ও সাতজন নারী সাঁতারুকে এ প্রতিযোগিতার জন্য চূড়ান্তভাবে নির্বাচিত করা হয়। বুধবার সকালে পুরুষ সাঁতারুরা গোমতী নদীর বুড়িচং উপজেলার কংসনগর থেকে দেবীদ্বার পর্যন্ত প্রায় ১৫ কিলোমিটার এবং নারী সাঁতারুরাও বুড়িচং উপজেলার গোমতী নদীর কংসনগর থেকে দেবীদ্বার পর্যন্ত প্রায় ১০ কিলোমিটার সাঁতার প্রতিযোগিতায় অংশ নেন।

পরে কুমিল্লার দেবীদ্বার উপজেলার এ বি এম গোলাম মোস্তফা স্টেডিয়ামে কুমিল্লা জেলা ক্রীড়া সংস্থার সভাপতি ও কুমিল্লা জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ শামীম আলমের সভাপতিত্বে পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠান হয়।

এতে প্রধান অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ সুইমিং ফেডারেশনের সভাপতি ও নৌবাহিনী প্রধান অ্যাডমিরাল এম শাহীন ইকবাল। বিশেষ অতিথি ছিলেন কুমিল্লা-৪ (দেবীদ্বার) আসনের সংসদ সদস্য রাজী মোহাম্মদ ফখরুল।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন ঢাকা নৌ অঞ্চলের কমান্ডার ও বাংলাদেশ নৌ ক্রীড়া নিয়ন্ত্রণ বোর্ডের সভাপতি রিয়ার অ্যাডমিরাল খোন্দকার মিজবাহ উল আজীম, কুমিল্লা জেলার পুলিশ সুপার ও জেলা ক্রীড়া সংস্থার সহসভাপতি আবদুল মান্নান, কুমিল্লা জেলা ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদক নাজমুল আহসান (ফারুক রোমেন), দেবীদ্বার উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মো. আবুল কালাম আজাদ প্রমুখ।

প্রধান অতিথি তাঁর বক্তব্যে বলেন, প্রান্তিক পর্যায়ে দেশে অনেক প্রতিভা লুকিয়ে আছে। নদীমাতৃক বাংলাদেশের প্রতিভাবান সাঁতারুদের খুঁজে বের করে আনতেই এ উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।