মাছের কড়াইয়ে গুঁড়া দেখে সন্দেহ, পাহারা দিয়ে ধরা হলো চোর
রাতে রান্না শেষে চুলার ওপর মাছের কড়াই রেখেছিলেন গৃহবধূ সাথী আক্তার। চুলার পাশে জানালা খোলা ছিল। খাবার আগে কড়াইয়ের মাছের ওপর গুঁড়াজাতীয় কিছু ছিটানো দেখে স্বামীকে জানান সাথী। পরে রাতে জেগে পাহারা দিয়ে ধরা হয় চোর। গতকাল রোববার দিবাগত রাতে পিরোজপুরের নাজিরপুর উপজেলার ষোলশত গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
আটক ওই চোরের নাম শহিদ শেখ (৩২)। তিনি বাগেরহাটের কচুয়া উপজেলার গজালিয়া গ্রামের শাহজাহান শেখের ছেলে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গতকাল রাতে উপজেলার ষোলশত গ্রামের ওষুধ ব্যবসায়ী মো. জামানের স্ত্রী সাথী আক্তার মাছ রান্না করে কড়াই রান্নাঘরের চুলার ওপর রাখেন। রান্নাঘরের থাই গ্লাসের জানালা খোলা ছিল। চোরের দল ওই জানালা দিয়ে মাছের কড়াইয়ে চেতনানাশক ছিটিয়ে দেয়। রাত সোয়া ১০টার দিকে সাথী কড়াইয়ের ঢাকনা খুলে দেখেন মাছের ওপর গুঁড়াজাতীয় কিছু ছিটানো। এতে সাথীর সন্দেহ হলে তিনি বিষয়টি স্বামী জামানকে জানান। জামান গিয়ে রান্নাঘরের থাই গ্লাসের জানালার লগ কাটা দেখতে পান। পরে বড় ভাই ও চাচাতো ভাইকে বিষয়টি জানিয়ে রাতে পাহারা দেন। রাত একটার দিকে বাড়ির মধ্যে তিনজনকে ঢুকতে দেখেন তাঁরা। এর মধ্যে একজন চলে যান। বাকি দুজন ঘরের কাছে এলে তাঁরা ধাওয়া দিয়ে শহিদ শেখকে ধরে ফেলেন। অন্যজন পালিয়ে যান। খবর পেয়ে গ্রামবাসী শহিদকে মারধর করে থানায় সোপর্দ করেন। পুলিশ আহত শহিদকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে।
গৃহকর্তা মো. জামান প্রথম আলোকে বলেন, খাবারে গুঁড়াজাতীয় কিছু দেখে তাঁর স্ত্রীর সন্দেহ হয়। তিনি রান্নাঘরে গিয়ে দেখেন জানালার লগ কাটা। এরপর তাঁরা চোর ধরতে পাহারা দেন। চোরের দল খাবারে চেতনানাশক খাইয়ে রান্নাঘরের জানালার গ্রিল কেটে চুরি করতে চেয়েছিল।
নাজিরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. হুমায়ুন কবির প্রথম আলোকে বলেন, আটক চোরকে চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এ ঘটনায় মামলা প্রক্রিয়াধীন।