জনগণের স্বাস্থ্য নিয়ে কাউকে ব্যবসা করতে দেওয়া হবে না: স্বাস্থ্যমন্ত্রী

আজ বৃহস্পতিবার সকালে রাজশাহী সদর হাসপাতাল পরিদর্শনে যান স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক
ছবি: প্রথম আলো

অবৈধ বেসরকারি হাসপাতাল-ক্লিনিক বন্ধ করা প্রসঙ্গে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেন, সেসব স্বাস্থ্যসেবা প্রতিষ্ঠান সঠিক নিয়মে সেবা দেয় না, তাদের কাজ করতে দেবে না সরকার। জনগণের স্বাস্থ্য নিয়ে কেউ ছিনিমিনি খেলবে, ব্যবসা করবে, এটি তাঁরা হতে দেবেন না। আজ বৃহস্পতিবার সকাল ১০টার দিকে রাজশাহী সদর হাসপাতাল পরিদর্শনে গিয়ে এসব কথা বলেন তিনি।

কাগজে-কলমে বন্ধ থাকলেও রাজশাহীতে বাস্তবে অনেক বেসরকারি হাসপাতাল-ক্লিনিক চলছে। সাংবাদিকদের দেওয়া এমন তথ্যের পরিপ্রেক্ষিতে জাহিদ মালেক বলেন, ‘আমরা সেটা দেখব। যেগুলো সঠিক যন্ত্রপাতি ও জনবল না থাকার কারণে বন্ধ করা হয়েছে, সেগুলো যদি আবারও পূরণ না করে থাকে তাহলে তাকে বন্ধ করে রাখা হবে, বন্ধ করে দেওয়া হবে। কোনো প্রতিষ্ঠানকে যে কারণে বন্ধ করা হয়েছিল, সেই কারণগুলো যদি আবার শুরু করে তাহলে বন্ধ করার ব্যবস্থা হবে।’

স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেন, ‘আমাদের সরকারি কিছু নিয়মনীতি আছে। স্বাস্থ্যসেবার কোনো প্রতিষ্ঠান লাইসেন্সবিহীন পরিচালনা করা যাবে না। আমরা এ ব্যাপারে ব্যবস্থা নিয়েছি। ইতিমধ্যে সারা দেশে প্রায় দুই হাজারের মতো প্রতিষ্ঠান বন্ধ করেছি। কিছু কিছু প্রতিষ্ঠানকে নোটিশ দেওয়া হয়েছে। তারা যদি লাইসেন্স নবায়ন করে এবং সঠিক যন্ত্রপাতি ও জনবল নিয়োগ দিয়ে থাকে, তাহলে তাদের কাজ করার সুযোগ দেওয়া হবে। ইতিমধ্যে যারা শর্ত পূরণ করেছে, তাদের আবার পরিচালনা করার সুযোগ দেওয়া হয়েছে। শর্ত পূরণ না হলে দেওয়া হবে না।’

গতকাল বুধবার রাতে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল পরিদর্শনের অভিজ্ঞতার কথা জানিয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, সেখানে জনবলের কিছু সংকট দেখেছেন। আউটসোর্সিং ও নিয়োগের মাধ্যমে জনবলের ঘাটতি পূরণের জন্য বলেছেন। হাসপাতালটিতে ধারণক্ষমতার দ্বিগুণের বেশি রোগী থাকেন। সে জন্য ভবনের ঊর্ধ্বমুখী সম্প্রসারণের উদ্যোগ নেওয়া হবে।

রাজশাহী সদর হাসপাতাল দীর্ঘদিন ধরেই বন্ধ। এখন সেখানে রাজশাহী মেডিকেল কলেজের ডেন্টাল ইউনিটের কার্যক্রম চলে। করোনার সময় হাসপাতালটি চালু করার উদ্যোগ নেওয়া হয়। শুরু হয় সংস্কারকাজও। যাবতীয় প্রস্তুতি থাকা সত্ত্বেও হাসপাতালটি চালু হয়নি। এ বিষয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘সদর হাসপাতালটি আমরা চালু করতে চাই। এখানে সাধারণ মানুষের চিকিৎসা হবে। পাশাপাশি ডেন্টাল ইউনিটেরও কার্যক্রম থাকবে। কীভাবে কী করা যায়, সে বিষয়ে কথা বলতেই এসেছি।’

এ সময় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক আবুল বাশার মোহাম্মদ খুরশীদ আলম, বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক হাবিবুল আহসান তালুকদার, রাজশাহী মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ নওশাদ আলী, রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল শামীম ইয়াজদানীসহ স্বাস্থ্য বিভাগের অন্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।