গৌরনদীতে আপত্তিকর ভিডিও ছড়ানোর অভিযোগ প্রতিদ্বন্দ্বী চেয়ারম্যান প্রার্থীর বিরুদ্ধে

উপজেলা পরিষদ নির্বাচন
প্রতীকী ছবি

বরিশালের গৌরনদী উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে এক চেয়ারম্যান প্রার্থী তাঁর ‘আপত্তিকর ভিডিও’ ছড়ানোর অভিযোগ করেছেন প্রতিদ্বন্দ্বী আরেক প্রার্থীর বিরুদ্ধে। তাঁর অভিযোগ, বিজয় নিশ্চিত জেনে ‘সুপার এডিট’ করে ওই ভিডিও ছড়িয়েছে প্রতিপক্ষ।

অভিযোগকারী প্রার্থীর নাম মনির হোসেন মিয়া। তিনি গৌরনদী পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি। অন্যদিকে ভিডিও তৈরি ও ছড়ানোর অভিযোগ উঠেছে আরেক প্রার্থী হারিছুর রহমানের বিরুদ্ধে। তিনি উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গতকাল রোববার বিকেলে ফেসবুকে মাসুদ রানা নামের একটি আইডি থেকে ২ মিনিট ৩৭ সেকেন্ডের ভিডিওটি পোস্ট করা হয়। এতে মনির হোসেন মিয়াকে আপত্তিকর অবস্থায় দেখা যায়। পরে এই ভিডিও ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়ে। উপজেলা আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের একাংশের নেতা-কর্মী ও প্রার্থী হারিছুর রহমানের একাধিক সমর্থক ওই ভিডিও ফেসবুক আইডিতে ‘শেয়ার’ করেছেন। তাঁরা আওয়ামী লীগ থেকে মনিরের বহিষ্কার দাবি করেছেন।

এ বিষয়ে আজ সোমবার সকালে মনির হোসেন মিয়া বলেন, ‘২৯ মের নির্বাচনে আমার বিজয় নিশ্চিত জেনে আমার প্রতিপক্ষ ও প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী হারিছুর রহমান ও তাঁর সমর্থকেরা ষড়যন্ত্রে নেমেছেন। তাঁরা সুপার এডিট করে আমার ছবি দিয়ে এটা তৈরি করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রচার করেছেন। এ বিষয়ে আমি সাইবার নিরাপত্তা আইনে মামলা করব।’  

এসব অভিযোগ অস্বীকার করে হারিছুর রহমান বলেছেন, ‘মনিরের অশ্লীল ভিডিও ভাইরাল হওয়ার কথা শুনেছি। তবে মনিরের অভিযোগ সত্য নয়। এ ঘটনায় আমি এবং আমার সমর্থক কেউ জড়িত নই। এটা খুবই অনৈতিক কাজ। ২৯ মে ভোটাররা রায় দিয়ে আমাকে বিপুল ভোটে বিজয়ী করবে। অনৈতিক কাজে জড়িতদের বর্জন করবে।’

গৌরনদী উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে মোট চারজন প্রার্থী ছিলেন। তাঁদের মধ্যে দুজন প্রার্থী মনির হোসেন মিয়াকে সমর্থন জানিয়ে ভোটের মাঠ থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন।

এ বিষয়ে গৌরনদী উপজেলা পরিষদের বর্তমান চেয়ারম্যান ও জেলা মহিলা লীগের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দা মনিরুন নাহার বলেন, ‘সন্ত্রাসমুক্ত গৌরনদী গড়তে আমরা দুই চেয়ারম্যান প্রার্থী মনির হোসেন মিয়াকে আনুষ্ঠানিকভাবে সমর্থন জানিয়েছি। হারিছুরকে ঠেকাতে গৌরনদীর লাখ লাখ মানুষ ঐক্যবদ্ধ হয়েছে। মনির হোসেনের বিজয় নিশ্চিত জেনে এবং মানুষের মধ্যে বিভ্রান্তি ছড়াতে ফেসবুকে ভিডিওটি ছড়ানো হয়েছে।’