জনগণের আস্থা না থাকায় বিএনপি নির্বাচনে যেতে চায় না: বাহাউদ্দিন নাছিম
বিএনপির ওপর জনগণের আস্থা না থাকায় তারা এখন নির্বাচনে যেতে চায় না বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম।
আজ মঙ্গলবার বিকেলে মাদারীপুর সদর উপজেলার শিরখাড়া এলাকায় এক জনসভা শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ মন্তব্য করেন।
আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম বলেন, ‘বিএনপি বলেছিল, ১০ তারিখের মধ্যেই নাকি খালেদা জিয়া ও তারেকের হাতে দেশ তুলে দেবে। এখন আবার তারাই বলছে, “আমরা আরও কিছুদিন সময় নেব।” তারা যা বলতে চায়, তা দেশের মানুষের কাছে স্পষ্ট নয়। তারা ষড়যন্ত্রের রাজনীতিতে বিশ্বাসী। সাম্প্রদায়িক শক্তিকে উসকে দিয়ে তারা দেশে নৈরাজ্যের সৃষ্টি করতে চায়। এ জন্য জনগণের কাছে তাদের গ্রহণযোগ্যতা নেই। জনগণের কাছে তাদের আস্থা নেই বলে তারা এখন নির্বাচনে যেতে চায় না।’
আওয়ামী লীগের এই নেতা আরও বলেন, বিএনপি ১০ দফা দিয়েছে, আবার ২৭ দফা দিয়েছে। কোনটা রূপরেখা আর কোনটা মেরামত প্রক্রিয়ায় আছে, বিষয়টি জনগণের কাছে স্পষ্ট নয়।
বাহাউদ্দিন নাছিম বলেন, বিএনপির মধ্যে দ্বিধাদ্বন্দ্ব আছে। নেতৃত্বের মধ্যে পরস্পরের যে ঐক্যের দরকার, তাদের মধ্যে তা নেই। তারা তা করতে ব্যর্থ হয়েছে। যারা দুর্নীতি ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশকে সন্ত্রাসী রাষ্ট্র বানানোর শেষ প্রান্তে দাঁড় করিয়েছিল, যারা যুদ্ধাপরাধী দল হিসেবে প্রতিষ্ঠিত ও দুর্নীতিতে চ্যাম্পিয়ন, তারা নাকি এই রাষ্ট্রকে মেরামত করবে? এসব হাস্যকর।
তিনি আরও বলেন, বিএনপি গণতন্ত্রের হত্যাকারী, এখন তারাই আবার গণতন্ত্রের গল্প শোনায়। তাদের মুখে গণতন্ত্রের কথা শুনতে সত্যি খুবই আশ্চর্য লাগে। তারা এ দেশের সংবিধানকে কলঙ্কিত করেছে, প্রশ্নবিদ্ধ করেছে। তারা যুদ্ধাপরাধীদের নিয়ে দল করে ক্ষমতায় এসে শাসনের নামে দুঃশাসন করেছে। তাই এখন এই অপশক্তিকে বাংলার জনগণ সমর্থন করে না।
বাহাউদ্দিন নাছিম বলেন, ‘তারা ভবিষ্যতে অপকর্ম করবে না বলে যদি দেশের মানুষের কাছে মাফ চায় আর জনগণ যদি তাদের মাফ করে নির্বাচনে ভোট দেয়, তাহলে আমরা বঙ্গবন্ধুর আদর্শের সৈনিক হিসেবে তাদের হাতে ক্ষমতা ছেড়ে দেব। এ জন্য তাদের নির্বাচনে আসতে হবে। তারা যদি বলে নির্বাচন আসব না, নির্বাচন করতে দেব না—এ ধরনের অন্যায় আবদার জনগণ মেনে নেবে না।’
এ সময় অন্যান্যের মধ্যে মাদারীপুর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শাহাবুদ্দিন আহম্মেদ মোল্লা, সাধারণ সম্পাদক কাজল কৃষ্ণ দে প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।