যশোরে বিএনপি নেতা অনিন্দ্যসহ ৫১ নেতা–কর্মী কারাগারে

জামিন নামঞ্জুরের পর বিএনপির বিভাগীয় ভারপ্রাপ্ত সাংগঠনিক সম্পাদক অনিন্দ্য ইসলামসহ নেতা–কর্মীদের কারাগারে নেওয়া হয়। আজ রোববার দুপুরে যশোর আদালতেছবি: প্রথম আলো

নাশকতার অভিযোগে দায়ের করা তিনটি মামলায় বিএনপির খুলনা বিভাগীয় ভারপ্রাপ্ত সাংগঠনিক সম্পাদক অনিন্দ্য ইসলামসহ যশোর জেলা বিএনপি, যুবদল ও ছাত্রদলের ৫১ নেতা–কর্মীকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত। আজ রোববার দুপুরে নেতা–কর্মীরা যশোর জেলা দায়রা ও জজ আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিনের আবেদন করেন। আদালতের বিচারক জামিন নামঞ্জুর করে তাঁদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।

বিএনপির নেতারা জানান, গত বছরের ২৮ অক্টোবরের পর যশোর কোতোয়ালি থানায় বিস্ফোরক দ্রব্য ও বিশেষ ক্ষমতা আইনে চারটি মামলা দায়ের করে পুলিশ। ওই মামলার মধ্যে একটিতে জেলা ও দায়রা জজ আদালত ও তিনটিতে ঢাকার উচ্চ আদালত থেকে আট সপ্তাহের জামিন পান নেতা–কর্মীরা। উচ্চ আদালতের জামিনের মেয়াদ শেষ হওয়ার পর নিম্ন আদালতে হাজির হয়ে জামিন নেওয়ার নির্দেশ ছিল। সেই নির্দেশনা অনুযায়ী রোববার তিনটি মামলায় মোট ৬৩ নেতা–কর্মী আদালতে হাজির হয়ে জামিনের আবেদন করেন। এর মধ্যে বয়স ও অসুস্থতা বিবেচনায় ১২ জ্যেষ্ঠ নেতার জামিন মঞ্জুর করা হয়। অন্যদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেওয়া হয়।

জামিন পাওয়াদের একজন যশোর জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক দেলোয়ার হোসেন। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, আদালত ১২ জনকে জামিন দিলেও ৫১ জনকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন। ঈদের আগেই নেতা–কর্মীরা যাতে জামিনে মুক্তি পেতে পারেন, সে জন্য আবারও জামিনের আবেদন করা হবে।

আদালত ও দলীয় সূত্রে জানা গেছে, জামিন নামঞ্জুর হওয়া ৫১ নেতা–কর্মীর মধ্যে অনিন্দ্য ইসলাম ছাড়াও আছেন জেলা বিএনপির সদস্যসচিব সৈয়দ সাবেরুল হক, আহ্বায়ক কমিটির সদস্য মুনীর আহমেদ সিদ্দিকী, সদর উপজেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক আবদুর রাজ্জাক, জেলা যুবদলের সভাপতি এম তমাল আহমেদ, জেলা ছাত্রদলের সভাপতি রাজিদুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক কামরুজ্জামান প্রমুখ।

এদিকে জামিন পাওয়া নেতারা হলেন বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক দপ্তর সম্পাদক মফিকুল হাসান, জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক দেলোয়ার হোসেন, জেলা কমিটির সদস্য আবদুস সালাম আজাদ, যশোর পৌরসভার সাবেক মেয়র মারুফুল ইসলাম, এ কে শরফুদ্দৌলা ও আনিসুর রহমান।