ঘোড়াঘাটে আ.লীগ নেতার বাড়িঘরে আগুন-ভাঙচুর, গ্রেপ্তার ৩

দিনাজপুরের ঘোড়াঘাট উপজেলার চোরগাছা গ্রামে আওয়ামী লীগের নেতা রেজাউল করিমের খড়ের গাদায় আগুন দেয় দুর্বৃত্তরা
ছবি: সংগৃহীত

দিনাজপুরের ঘোড়াঘাট উপজেলার ঘোড়াঘাট ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতির বাড়িঘর ভাঙচুর ও আগুন দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় আজ শনিবার বিএনপির ৩ কর্মী-সমর্থককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

এর আগে আজ সকালেই উপজেলা ছাত্রদল শাখার আহ্বায়ক কমিটির সদস্যসচিব মনোয়ার হোসেনকে প্রধান আসামি করে ১৩ জনের নামে মামলা করেন ঘোড়াঘাট ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি রেজাউল করিম। গ্রেপ্তার আসামিরা হলেন উপজেলার ঘোড়াঘাট ইউনিয়নের চোরগাছা গ্রামের আবদুর রহিম মণ্ডলের ছেলে বেল্লাল মণ্ডল (৩৮), হায়বর আলীর ছেলে মশিকুল মিয়া (২০) এবং শাহিনুর ইসলামের ছেলে মোশারফ হোসেন (২৫)।

রেজাউল করিমের পরিবার ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, গতকাল শুক্রবার রাত পৌনে ১২টার দিকে উপজেলার চোরগাছা গ্রামের বাসিন্দা ঘোড়াঘাট ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি রেজাউল করিম ও তাঁর পরিবারের সদস্যরা রাতের খাওয়াদাওয়া শেষে ঘুমাতে যান। রাত ১২টার পর এলাকার পরিচিত ১৩ জন ও অজ্ঞাতনামা প্রায় ১২ জন হামলাকারী দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে বাড়িতে প্রবেশ করেন এবং রেজাউলের ছেলে রাসেল রানাকে গালিগালাজ করেন। হামলাকারীরা ঘরের দরজায় লাথি মারেন এবং ঘরের টেবিল-চেয়ার ও মোটরসাইকেল ভাঙচুর করেন। পরে রেজাউল করিম ঘরের ভেতর থেকে চিৎকার করলে প্রতিবেশীরা ছুটে আসেন। হামলাকারীরা পালিয়ে যাওয়ার সময় রেজাউল ও তাঁর ছোট ভাই সাজু মিয়ার বাড়ির উঠানে থাকা খড়ের গাদায় আগুন লাগিয়ে দেন। পরে রেজাউল মুঠোফোনে ফায়ার সার্ভিসকে খবর দিলে ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা ঘটনাস্থলে এসে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনেন।

আওয়ামী লীগ নেতার বাড়িঘর ভাঙচুর ও আগুন দেওয়ার খবর পেয়ে গতকাল শুক্রবার রাতেই দিনাজপুর-৬ আসনের সংসদ সদস্য শিবলী সাদিক ঘটনাস্থলে যান। তিনি এ ঘটনায় জড়িত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নিতে পুলিশকে নির্দেশ দেন।

এ বিষয়ে ঘোড়াঘাট উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আবু সাইদ বলেন, ‘আওয়ামী লীগ সভাপতির বাড়িঘর ভাঙচুর ও আগুন দেওয়ার অভিযোগ পুরোটাই সাজানো। আমাদের রাজনৈতিকভাবে হয়রানি করতেই এসব করা হচ্ছে। বিএনপির নেতা-কর্মীরা এমনিতেই ক্ষতিগ্রস্তের মধ্যে আছেন। এ জন্য আমরা সব সময়ই ঝামেলা এড়িয়ে চলি। রাজনৈতিক হামলা-মামলার ভয়ে আমরা সব সময়ই আল্লাহ আল্লাহ করি। কারও সঙ্গে সংঘাতে জড়ানোর প্রশ্নই আসে না।’

ঘোড়াঘাট থানার উপপরিদর্শক (এসআই) আবদুস সালাম বলেন, বাড়িঘর ভাঙচুর ও আগুন দেওয়ার ঘটনায় শনিবার সকালে থানায় মামলা হয়েছে। পরে বিভিন্ন জায়গায় অভিযান চালিয়ে তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গ্রেপ্তার তিনজনই বিএনপির কর্মী-সমর্থক। আসামিদের আজ দুপুরে দিনাজপুরের আদালতে পাঠানো হয়েছে। অন্য আসামিদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তার অভিযান অব্যাহত রয়েছে।