পরকীয়ার অভিযোগে স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতাকে পেটানোর ভিডিও ফেসবুকে

ফরিদপুর জেলার মানচিত্র

ফরিদপুরের সালথা উপজেলায় পরকীয়ার অভিযোগে স্বেচ্ছাসেবক লীগের এক নেতাকে চেয়ারে বেঁধে পিটুনি দিয়েছেন স্থানীয় লোকজন। এ ঘটনার ৩৯ সেকেন্ডের একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়েছে।

ওই ব্যক্তির নাম মো. সবুজ সরদার (৩৫)। তিনি সালথা উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সহসভাপতি ও উপজেলার মাঝারদিয়া ইউনিয়নের মাঝারদিয়া গ্রামের বাসিন্দা।

ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়া ভিডিওতে দেখা যায়, সবুজ সরদারকে একটি চেয়ারে বসিয়ে রাখা হয়েছে। বয়োজ্যেষ্ঠ এক ব্যক্তি তাঁর শার্টের কলার ধরে জিজ্ঞাসাবাদ করছেন। এ সময় সবুজকে উপস্থিত সবার কাছে নিজের পরিচয় তুলে ধরতে শোনা যায়।

তবে এ ঘটনা ‘ষড়যন্ত্র ও সাজানো’ বলে দাবি করেন সবুজ সরদার। তিনি বলেন, ‘আমি ঢাকায় ব্যবসা করি। স্থানীয় বিরোধের জেরে ষড়যন্ত্রমূলকভাবে আমার সঙ্গে এই আচরণ করা হয়েছে। ভিডিওগুলো সাজানো।’

এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, সবুজের স্ত্রী ও দুটি সন্তান আছে। তবে পাশের গ্রামের চার সন্তানের জননী (৩৪) এক নারীর সঙ্গে তাঁর পরকীয়া আছে। মাঝেমধ্যে ওই নারীর বাড়িতে যেতেন তিনি। বিষয়টি জানাজানি হলে শনিবার সকালে ওই নারীর সঙ্গে ফের দেখা করতে তিনি ওই বাড়িতে যান। তখন স্থানীয় বাসিন্দারা তাঁকে ধরে চেয়ারে বেঁধে পিটুনি দেন।

ওই নারীর স্বামী বলেন, ‘মোবাইলে আমাকে মাঝেমধ্যে হুমকি দিত সবুজ। তাই শনিবার সকালে আমরা তাকে ধরে চেয়ারে বেঁধে পিটিয়েছি।’

সালথা উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি রাকিবুল হাসান প্রথম আলোকে বলেন, ‘সবুজ সরদার উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সহসভাপতি। তবে কারও ব্যক্তিগত অপকর্মের দায় সংগঠন নেবে না। আমি ভিডিওগুলো দেখেছি। এগুলো যাচাই-বাছাই করে সত্যতা পেলে সবুজের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

অভিযোগ পেলে তদন্ত করে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. ফয়সাল আহম্মেদ।

সালথা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ ফায়েজুর রহমান বলেন, ‘এ ঘটনায় কেউ কোনো অভিযোগ করেনি। তবে আমি পুলিশ পাঠিয়ে খোঁজখবর নিচ্ছি।’