ময়মনসিংহে ‘সমন্বয়ক’ পরিচয়ে টাকা আদায়ের ঘটনায় মামলা

ময়মনসিংহের ফুলপুরে স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতাকে পুলিশ ধরবে না এই শর্তে টাকা নিচ্ছেন সমন্বয়ক পরিচয় দেওয়া এক যুবক
ছবি: ভিডিও থেকে নেওয়া

ময়মনসিংহের ফুলপুর উপজেলার ভাইটকান্দি ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক লীগের নেতাকে পুলিশ ধরবে না, এমন কথা বলে ‘সমন্বয়ক’ পরিচয়ে টাকা আদায়ের ঘটনায় থানায় মামলা হয়েছে। আজ রোববার দুপুরে থানায় মামলাটি নথিভুক্ত হয় বলে জানিয়েছে পুলিশ। টাকা আদায়ের ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়লে তোলপাড় সৃষ্টি হয়।

টাকা নেওয়া অভিযুক্ত যুবকের নাম ওবায়দুল হক। তিনি উপজেলার সখল্যা গ্রামের বাসিন্দা। আর স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতার নাম শফিউল আলম। তিনি উপজেলার ভাইটকান্দি ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি ও অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক শওকত আলীর ছেলে। ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়া ৪ মিনিট ৪৭ সেকেন্ডের ভিডিওতে দেখা যায়, স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা শফিউল আলমকে পুলিশ ধরবে না, এমন আশ্বাসে পাঁচ হাজার টাকা নেন ওবায়দুল হক।

এ নিয়ে প্রথম আলোর অনলাইনে গতকাল শনিবার সংবাদ প্রকাশের পর তোলপাড় শুরু হয়। এ ঘটনায় আজ শওকত আলী বাদী হয়ে ফুলপুর থানায় একটি অভিযোগ দিয়েছেন। শওকত আলী বলেন, ‘আমার কাছ থেকে টাকা নেওয়ার ঘটনায় আজ বেলা দেড়টার দিকে থানায় অভিযোগ দিয়ে এসেছি। ভিডিও ভাইরাল হওয়ার পর ওবায়দুলকে আর এলাকায় দেখা যাচ্ছে না।’

ফুলপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আবদুল হাদি প্রথম আলোকে বলেন, টাকা আদায়ের ঘটনায় চাঁদাবাজির ধারায় থানায় মামলা নথিভুক্ত হয়েছে। অভিযুক্ত ব্যক্তিকে গ্রেপ্তারে চেষ্টা চলছে। এ ধরনের প্রতারণার ফাঁদে যেন কেউ না পড়েন, সে জন্য সবাইকে সতর্ক থাকতে ওসি অনুরোধ জানিয়েছেন।

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় ময়মনসিংহে সক্রিয় অংশগ্রহণ করেছেন বলে এলাকায় প্রচার চালান ওবায়দুল হক। ভিডিও ভাইরাল হওয়ার পর গতকাল রাতে স্থানীয় একটি রেস্টুরেন্টে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের স্থানীয় নেতা–কর্মীরা সংবাদ সম্মেলন করে ওবায়দুলকে চাঁদাবাজ আখ্যা দিয়ে তাঁকে গ্রেপ্তারে ২৪ ঘণ্টার সময় বেঁধে দেন। এ সময় সেখানে ছিলেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ময়মনসিংহ জেলা শাখার সদস্য মামুন মিয়া, আল আমিন, সাদেকুর রহমান, নাঈম শেখ প্রমুখ।