গণসমাবেশের আগের দিন খুলনায় পৌঁছানো নেতা–কর্মীদের জটলা বিএনপি কার্যালয়ের সামনে

বিভিন্ন জেলার বিএনপির নেতা-কর্মীরা খুলনায় আসতে শুরু করেছেন। আজ শুক্রবার দুপুরে খুলনা নগরের কেডি ঘোষ রোডের বিএনপির দলীয় কার্যালয়ের সামনে
ছবি: প্রথম আলো

ঝিনাইদহ জেলা ছাত্রদলের সহসভাপতি আবদুস সালাম। খুলনার গণসমাবেশে যোগ দিতে গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেলে ঝিনাইদহ সদর থেকে খুলনায় এসেছেন। সঙ্গে আরও ২০ জন। কেউ উঠেছেন আত্মীয়স্বজনের বাসায়, কেউবা মেস ও হোটেলে। আজ শুক্রবার দুপুরে খুলনা নগরের কেডি ঘোষ রোডের বিএনপির দলীয় কার্যালয়ের সামনে দলবলে দাঁড়িয়ে ছিলেন তাঁরা।

আবদুস সালাম বলেন, আগে থেকেই বুঝতে পেরেছিলেন, সমাবেশে যেতে বাধা আসতে পারে। তখন থেকেই খুলনায় আসার ব্যবস্থার কথা চিন্তা করেছেন। থাকার জন্য আত্মীয়স্বজনের সঙ্গে যোগাযোগ করেছেন। কেউ এলাকার ছোট ভাইদের মেসে থাকার জন্য বলেছিলেন। সে অনুযায়ী সবাই এসে যাঁর যাঁর সুবিধামতো জায়গায় উঠেছেন।

আরও পড়ুন

সকালে সোনালী ব্যাংক চত্বরে সমাবেশস্থল ঘুরে এসেছেন সালামরা। সেখানে তেমন কোনো কার্যক্রম চোখে না পড়ায় দলীয় কার্যালয়ের সামনে চলে এসেছেন। সেখানে বিভিন্ন জেলা থেকে আসা নেতা–কর্মীদের সঙ্গে আলাপ হচ্ছে। ছবি তুলছেন আর কেন্দ্রীয় নেতাদের সামনে থেকে দেখা তো আছেই—বলছিলেন সালাম।

খুলনার সমাবেশের সবশেষ প্রস্তুতি এবং পুলিশ ও ‘শাসকদলীয় সন্ত্রাসীদের’ অপতৎপরতা সম্পর্কে অবহিত করতে আজ দুপুরে দলীয় কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করে বিএনপি। সংবাদ সম্মেলনে কথা বলেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু ও অন্য কেন্দ্রীয় নেতারা। সংবাদ সম্মেলনের জায়গায় খুলনা বিএনপির নেতা-কর্মীদের পাশাপাশি আগে থেকে আসা অন্য শহরের নেতা–কর্মীরাও অনেকে উপস্থিত ছিলেন।

আরও পড়ুন

আজ সকাল থেকেই শহরের বেশির ভাগ রাস্তা ফাঁকা। তবে বিএনপির কার্যালয় থাকা কেডি ঘোষ রোড নেতা-কর্মীদের পদচারণে অনেকটাই মুখর। কাউকে দলগত আড্ডা দিতে দেখা গেছে, কেউ ব্যস্ত সেলফি আর ছবি তোলায়।

কার্যালয়ের প্রধান ফটকের সামনে দাঁড়িয়ে ছিলেন বাগেরহাটের শরণখোলা থেকে আসা একদল নেতা–কর্মী। তাঁদের একজন শরণখোলা উপজেলা যুবদলের সদস্যসচিব মো. আলামিন খান। তিনি জানান, তাঁরা গতকাল খুলনার উদ্দেশে রওনা হয়েছিলেন। তবে আগেভাগে আসার চেষ্টাতেও বাদ সেধেছেন আওয়ামী লীগের লোকজন। তাঁদের অনেকে হামলার শিকার হয়েছেন অভিযোগ করে আলামিন খান বলেন, শরণখোলা থেকে ভেঙে ভেঙে এসেছেন। তবে পথে নির্যাতনের শিকার হতে হয়েছে। মোরেলগঞ্জ ফেরিঘাট এলাকায় তাঁদের গাড়ি থেকে নামিয়ে মারধর করেন যুবলীগ-ছাত্রলীগের লোকজন। ওখান থেকে ফিরে গিয়ে মোংলা হয়ে এসেছেন।

পাশে দাঁড়ানো মোংলা থেকে আসা বিএনপির এক কর্মী বলেন, ‘আমি একজন গেরিলা মুক্তিযোদ্ধা ছিলাম। অথচ বিএনপির সমর্থক হওয়ায় নানা চাপের মধ্যে আছি। আগেই জানতাম, আসতে বাধা দেওয়া হবে। তবু এসেছি।’

আরও পড়ুন

বিএনপির খুলনা বিভাগীয় সহসাংগঠনিক সম্পাদক জয়ন্ত কুমার কুন্ড প্রথম আলোকে বলেন, খুলনা বিভাগের প্রায় প্রতিটি জেলা থেকে নেতা-কর্মীরা আসতে শুরু করেছেন। অনেকেই চলে এসেছেন। শহরের বিভিন্ন জায়গায় তাঁরা থাকছেন। বিভিন্ন জেলা থেকে আসা নেতা-কর্মীদের গ্রেপ্তারও করছে পুলিশ।

আরও পড়ুন