যুবদল নেতা আতিকুল ইসলাম
ছবি সংগৃহীত

ফেনীতে পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার হয়ে কারাগারে থেকেও নাশকতা ও বিস্ফোরক দ্রব্য আইনের মামলায় আসামি হয়েছেন যুবদলের নেতা আতিকুল ইসলাম। বিএনপির মহাসমাবেশে যোগ দিতে গত ২৬ অক্টোবর ঢাকা যাওয়ার সময় পথেই গ্রেপ্তার হন ফেনী জেলা যুবদলের সিনিয়র সদস্য ও ফেনী সদর উপজেলার সাবেক এই আহ্বায়ক।

পরদিন ২৭ অক্টোবর তাঁকে ফেনী আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়। আর কারাগারে থাকা অবস্থায় ফেনী শহরের ইসলামপুর রোডে জেলা বিএনপির অস্থায়ী কার্যালয়ের সামনে বিস্ফোরণের ঘটনায় পুলিশের দায়ের করা একটি মামলায় তাঁকে আসামি করা হয়েছে। গ্রেপ্তারের পাঁচ দিন পর সংগঠিত ঘটনার মামলায় তাঁকে আসামি করায় প্রশ্ন উঠেছে তিনি কারাগার থেকে কীভাবে বাইরে এসে মিছিলে যোগ দিলেন এবং পুলিশকে লক্ষ্য করে ইটপাটকেল ও ককটেল নিক্ষেপ করলেন।

সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, ২৬ অক্টোবর দুপুর ১২টার দিকে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের ফেনী সদর উপজেলার বিসিক রাস্তার মাথা এলাকায় একটি যাত্রীবাহী বাসে তল্লাশি চালিয়ে ফেনী জেলা যুবদলের চার নেতাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। তাঁদের চারজনের মধ্যে আতিকুল ইসলাম মামুনও ছিলেন। অথচ পুলিশের দায়ের করা মামলা অনুযায়ী তিনি ৩১ অক্টোবর ফেনী শহরের ইসলামপুর রোডের দলীয় কার্যালয়ের সামনে বিক্ষোভে অংশ নেন এবং বিএনপির অন্যান্য নেতা-কর্মীর সঙ্গে পুলিশকে লক্ষ্য করে ইটপাটকেল ছোড়েন।

১ নভেম্বর ফেনী মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মাহফুজুর রহমান বাদী হয়ে ৩১ জনের নাম উল্লেখ ও অজ্ঞাতপরিচয় অনেককে আসামি করে যে মামলা করেছেন, তাতে আসামির তালিকায় ১৯ নম্বরে আতিকুল ইসলামের নাম রয়েছে।

কারাগারে থাকা অবস্থায় আতিকুল ইসলাম কীভাবে বিস্ফোরণ মামলার আসামি হলেন, জানতে চাইলে মামলার বাদী ফেনী মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মাহফুজুর রহমান বলেন, নাম এক হলেও বাবার নামে মিল নেই। কারাগারে থাকা ব্যক্তি অন্যজন।

ফেনী জেলা বিএনপির সদস্যসচিব আলাল উদ্দিন পুলিশের পক্ষ থেকে দায়ের করা প্রতিটি মামলাকেই গায়েবি বলে অভিযোগ করেন। তিনি বলেন, ২৮ অক্টোবর থেকে ফেনীর পুলিশ জেলার বিভিন্ন থানায় অন্তত ২০টি মামলা দায়ের করেছে। এসব গায়েবি মামলায় বিএনপি ও এর সহযোগী সংগঠনের শত শত নেতা-কর্মীকে আসামি করা হয়েছে। ইতিমধ্যে জেলা বিএনপির আহ্বায়ক শেখ ফরিদ বাহার, যুগ্ম আহ্বায়ক গাজী হাবিব উল্যাহ, জেলা যুবদলের সভাপতি জাকির হোসেন, সাধারণ সম্পাদক নাসির উদ্দিন খন্দকারসহ দুই শতাধিক নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। হাজার হাজার নেতা-কর্মী বাড়িঘর ছেড়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছেন।