বোয়ালখালী উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান নুরুল আলম মারা গেছেন

বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. নুরুল আলম
ছবি: সংগৃহীত

চট্টগ্রামের বোয়ালখালী উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. নুরুল আলম (৭০) মারা গেছেন। আজ মঙ্গলবার বেলা ৩টা ৪৫ মিনিটে নিজ বাসভবনে তিনি ইন্তেকাল করেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। মৃত্যুর আগে ঢাকার একটি বেসরকারি হাসপাতালে তিনি দীর্ঘদিন চিকিৎসাধীন ছিলেন।

নুরুল আলমের ছেলে মো. রাশেদুল আলম বলেন, শ্বাসকষ্টজনিত রোগে তিনি আক্রান্ত ছিলেন। পরে কিডনি জটিলতায় ভুগছিলেন। গত ১৭ নভেম্বর তাঁকে চট্টগ্রাম নগরের একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাঁকে নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) রেখে চিকিৎসা করা হচ্ছিল। উন্নত চিকিৎসার জন্য ৩০ নভেম্বর ঢাকায় নিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু অবস্থার উন্নতি না হওয়ায় আজ বেলা দুইটার দিকে তাঁকে বাড়িতে আনা হয়। বেলা ৩টা ৪৫ মিনিটে তিনি মারা যান।

বোয়ালখালী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা প্রতীক সেন তাঁর মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেন। নুরুল আলম উপজেলার সারোয়াতলী ইউনিয়নের বাসিন্দা। তিনি স্ত্রী, দুই ছেলে ও দুই মেয়ে রেখে গেছেন।

আগামীকাল বুধবার বেলা ১১টায় বোয়ালখালী সিরাজুল ইসলাম ডিগ্রি কলেজ মাঠে তাঁর প্রথম জানাজা এবং বেলা দুইটায় সারোয়াতলী ইব্রাহীম নুর উচ্চবিদ্যালয় মাঠে দ্বিতীয় জানাজা অনুষ্ঠিত হবে।

১৯৬৭ সালে বিভূতিভূষণ উচ্চবিদ্যালয় শাখায় ছাত্রলীগের সম্পাদক এবং সারোয়াতলী ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্বের মধ্য দিয়ে তাঁর ছাত্র রাজনীতি শুরু। ১৯৬৮ সালের ডিসেম্বরে বোয়ালখালী থানা ছাত্রলীগের সম্মেলনে সহসভাপতি নির্বাচিত হন। ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধে সক্রিয়ভাবে অংশ নেন তিনি। ১৯৭২ সালে ছাত্রলীগ বিভক্তির সময় মুজিববাদী ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ও স্যার আশুতোষ কলেজ ছাত্র সংসদের ভিপি নির্বাচিত হন নুরুল আলম।

১৯৭৭ সালে বোয়ালখালী উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক, ১৯৭৮ সালে চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা যুবলীগের সম্মেলনে প্রচার সম্পাদক, ১৯৭৯ সালে বোয়ালখালী থানা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক, ১৯৮৪ সালে জেলা আওয়ামী লীগের কার্যকরী সদস্য, ১৯৮৮ সালে দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক, ১৯৮৯ সালে উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম আহ্বায়ক, ১৯৯৪ সালে দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের কার্যকরী কমিটির সদস্য ও ১৯৯৬ সালে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হয়ে ২০১৬ সাল পর্যন্ত দায়িত্ব পালন করেন। পরে ২০১৯ সালের ২৪ মার্চ অনুষ্ঠিত উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে তিনি চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন।