গতকাল বুধবার বেলা পৌনে একটার দিকে বাকেরগঞ্জ পৌরসভার ফায়ার সার্ভিস স্টেশনসংলগ্ন চৌমাথা এলাকার কুয়াকাটা-বরিশাল মহাসড়কে একটি বিআরটিসি বাস বিপরীত দিক থেকে আসা অপর একটি অটোরিকশাকে চাপা দিলে ঘটনাস্থলেই চারজন এবং বরিশালের শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আরও দুজন মারা যান। নিহত ব্যক্তিরা হলেন অটোরিকশাটির চালক মো. সোহাগ (২৪), যাত্রী বাকেরগঞ্জের কলসকাঠীর নারঙ্গল গ্রামের হারুন মিয়ার মেয়ে সাথী আক্তার (২২), তাঁর বোন তানজিলা আক্তার (৩০), সাথীর দেড় বছর বয়সী মেয়ে ফারহানা, বাকেরগঞ্জ পৌর এলাকার ৯ নম্বর ওয়ার্ডের আমির চৌধুরী (৬০) ও পৌর এলাকার ৬ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা মো. হাসিব (২৫)।
নিহত তানজিলা আক্তার ও সাথী আক্তারের ভগ্নিপতি শাহাদাত হোসেন বলেন, ‘আমরা সকাল থেকেই হাসপাতালের মর্গে অপেক্ষা করছি। কখন লাশের ময়নাতদন্ত হবে, তা এখনো নিশ্চিত করে কেউ বলতে পারছেন না। শুনেছি বিকেল নাগাদ হবে। এরপরই লাশ বাড়িতে নিয়ে দাফন করা হবে।’
পরিবার সূত্রে জানা যায়, তানজিলা ও সাথী তাঁদের ছোট বোনের বিয়ের বাজারসদাই নিয়ে বাকেরগঞ্জ সদর থেকে বাবার বাড়িতে ফিরছিলেন। সাথীর স্বামী ফয়সাল হোসেন এবং তাঁদের দেড় বছর বয়সী মেয়ে ফারহানা সঙ্গে ছিল। কাল শুক্রবার তানজিলা ও সাথীর ছোট বোন বীথির বিয়ের দিন ধার্য ছিল।
শাহাদাত হোসেন আরও বলেন, বীথির বিয়ে উপলক্ষে তিনি, তাঁর স্ত্রী নাহিদা, শ্যালিকা তানজিলা, তাঁর স্বামী নাসির উদ্দীনসহ সন্তানদের নিয়ে গতকাল সকালে ঢাকা থেকে শ্বশুরবাড়ি বাকেরগঞ্জের নারঙ্গল গ্রামে আসেন। এর আগের দিন বরিশালের গৌরনদী থেকে সাথী আক্তার তাঁর মেয়ে ফারহানাকে নিয়ে বাবার বাড়িতে আসেন।