বানিয়াচংয়ে গ্রামের বাজারে দুই পক্ষের সংঘর্ষে নারীসহ আহত শতাধিক

হবিগঞ্জ জেলার মানচিত্র

হবিগঞ্জের বানিয়াচং উপজেলার কুমড়ি দুর্গাপুর গ্রামের বাজারে পূর্ববিরোধের জের ধরে দুই পক্ষের সংঘর্ষে শতাধিক ব্যক্তি আহত হয়েছেন। রোববার দুপুরে এ সংঘর্ষে গুরুতর আহত ২২ জনকে হবিগঞ্জ ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেলা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার কুমড়ি দুর্গাপুর গ্রামের বাসিন্দা ও বানিয়াচং উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান ফারুক আমীন এবং একই গ্রামের বাসিন্দা হবিগঞ্জ জেলা বারের সদস্য আবদুল হামিদের মধ্যে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে বিরোধ চলে আসছে। রোববার দুপুরে গ্রামের বাজারে দুই পক্ষের লোকজনের কথা–কাটাকাটি হয়।

এর এক পর্যায়ে লাঠিসোঁটা, বল্লমসহ দেশীয় অস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন তাঁরা। ঘণ্টাব্যাপী চলা সংঘর্ষে নারী–পুরুষসহ উভয় পক্ষের শতাধিক ব্যক্তি আহত হন। খবর পেয়ে বানিয়াচং থানা–পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

এ সময় ফজলুর রহমান (৫০), এরশাদ আলী (৬০), নজরুল ইসলাম (৪০), রায়হান আহমেদ (৩০), রাসেল মিয়া (২২), নিম্মত আলী (৪৪), মো. নজরুল (৪৫), নার্গিস আক্তার (২৫), আমিনা বেগমসহ (২৫) শতাধিক ব্যক্তি আহত হন।

তাঁদের মধ্যে ৫ জনকে সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে, ২২ জনকে হবিগঞ্জ ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেলা সদর হাসপাতালে এবং ৩৬ জনকে বানিয়াচং উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। বাকি আহত ব্যক্তিরা প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছেন।

বানিয়াচং থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) অজয় চন্দ্র দেব প্রথম আলোকে বলেন, তুচ্ছ বিষয় নিয়ে দুই পক্ষের লোকজন সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন। পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এনেছে। এ ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে।