ইছামতীতে ভাসছিল মরা মাছ, তীরে উৎসুক মানুষের ভিড়

ঢাকার নবাবগঞ্জ উপজেলার ইছামতি নদীতে মাছ মরে ভেসে ওঠার খবরে পাড়ে জড়ো হন স্থানীয় বাসিন্দারা। তাঁরা বিভিন্ন উপায়ে এসব মৃত মাছ সংগহ করেছেন। গতকাল বিকেলে দিঘীরপাড় এলাকায়ছবি: প্রথম আলো

গভীর রাতেও ইছামতী নদীর পাড়ে উৎসুক জনতার ভিড়। অধিকাংশের হাতে টর্চলাইট। তাঁরা দল বেঁধে নদীতে ভেসে ওঠা মৃত মাছ সংগ্রহ করছিলেন।

গতকাল মঙ্গলবার সন্ধ্যা থেকে আজ বুধবার ভোর পর্যন্ত ঢাকার নবাবগঞ্জ উপজেলার সামসাবাদ এলাকায় চলেছে এই অবস্থা।

প্রত্যক্ষদর্শীরা বলেন, মরা মাছ ভেসে থাকতে দেখে গতকাল মঙ্গলবার বিকেল থেকে ইছামতী নদীর তীরের সামসাবাদ এলাকায় ভিড় জমান কয়েকজন। তাঁদের উপস্থিতির কারণ জানতে অনেকেই সেখানে যান। এরপর নারী-পুরুষনির্বিশেষে অনেকেই নদীতে ভেসে ওঠা বিভিন্ন প্রজাতির মাছ ধরতে শুরু করেন। কেউ খালি হাতে, কেউ গামছা দিয়ে বা পরনের কাপড়ের সাহায্যে এসব মাছ সংগ্রহ করেন।

স্থানীয় বাসিন্দা ও সংশ্লিষ্ট মৎস্য কর্মকর্তার ধারণা, নদীতে প্রচুর কচুরিপানার কারণে অক্সিজেন লেবেল কমে মাছ মরে ভেসে উঠছে
ছবি: প্রথম আলো

সামসাবাদ ছাড়াও উপজেলার কলাকোপা, কলেজঘাট, খানেপুর, গোল্লা, দিঘীরপাড়, ধাপারীসহ ৮ থেকে ১০টি স্থানসংলগ্ন নদীতে মাছ মরে ভেসে ওঠার খবর পাওয়া গেছে।
ফয়সাল নামের স্থানীয় এক বাসিন্দা বলেন, রাতে নদীর পাড়জুড়েই আলো দেখা গেছে। পরে জানতে পারেন, নদীর পানিতে ভেসে ওঠা মাছ ধরতে মানুষের এই ভিড়।

সমসাবাদের বাসিন্দা মুন্না মিয়া বলেন, মঙ্গলবার রাতে লোকজনের শোরগোল শুনে নদীর পাড়ে গিয়ে মরা মাছ ধরার দৃশ্য দেখেছেন। এ অবস্থা ভোর পর্যস্ত চলেছে। তবে সকালে আর কাউকে দেখা যায়নি। এখন জোয়ারে পানি বাড়ায় কোনো মাছ সেখানে নেই।

নদীতে মৃত অবস্থায় পাওয়া যায় এসব মাছ
ছবি: প্রথম আলো

নদীতে মাছ মরে ভেসে ওঠার কারণ জানতে চাইলে নবাবগঞ্জ উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা কারিশমা আহমেদ বলেন, ‘দুটি কারণে এমনটি হতে পারে। প্রথমত, পানিতে প্রচুর কচুরিপানার কারণে অক্সিজেন লেবেল কমে যেতে পারে। এ ছাড়া পানি অতি মাত্রায় দূষিত হলেও মাছ মরে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে। দ্রুত বিষয়টি জানার চেষ্টা করছি, যাতে এ অবস্থার প্রতিরোধ করা যায়। এ ছাড়া অন্য নাশকতার বিষয়টিও মাথায় রেখে খতিয়ে দেখা হবে।’