যশোরে দুই দিনে বিএনপির ৪৮ নেতা-কর্মী গ্রেপ্তার

গ্রেপ্তার
প্রতীকী ছবি

গত দুই দিনে যশোরে বিএনপির ৪৮ জন নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। আটক ব্যক্তিদের মধ্যে ইউনিয়ন ও ওয়ার্ড পর্যায়ের নেতা আছেন ১৩ জন। বিএনপির খুলনা বিভাগীয় ভারপ্রাপ্ত সাংগঠনিক সম্পাদক অনিন্দ্য ইসলাম ও যশোর জেলা বিএনপির সদস্যসচিব সৈয়দ সাবেরুল হক আজ বৃহস্পতিবার প্রথম আলোকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। খুলনায় বিএনপির গণসমাবেশ ব্যর্থ করার জন্য সরকার পুলিশকে ব্যবহার করে পুরোনো মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে তাঁদের কারাগারে পাঠিয়েছে বলে জানিয়েছেন তাঁরা।

গ্রেপ্তার নেতা-কর্মীদের মধ্যে রয়েছেন যশোর সদর উপজেলার রামনগর ইউনিয়নের ওয়ার্ড কমিটির সাধারণ সম্পাদক গোলাম রব্বানি, লেবুতলা ইউনিয়ন বিএনপির সহসাংগঠনিক সম্পাদক আনোয়ার হোসেন, ওই ইউনিয়নের ওয়ার্ড কমিটির সাধারণ সম্পাদক আবদুর রাজ্জাক, ফতেপুর ইউনিয়ন বিএনপির সদস্য জামাল হোসেন ও আসাদুজ্জামান, নরেন্দ্রপুর ইউনিয়নের ওয়ার্ড কমিটির সদস্য আকতার হোসেন ও ওই ইউনিয়ন যুবদলের সদস্য মো. সুমন, যশোর পৌরসভার বিভিন্ন ওয়ার্ড কমিটির সদস্য সিরাজুল ইসলাম, শামীম হোসেন, আবদুর রউফ, বিপ্লব হোসেন, মনির উদ্দীন, সিরাজ হোসেন, জামাল হোসেন প্রমুখ।

আজ বিএনপির ২৩ নেতা-কর্মীর জামিনের আবেদন করলে নামঞ্জুর করে পরবর্তী শুনানির দিন ২২ তারিখের পরে ধার্য করেছেন আদালত।

সৈয়দ সাবেরুল হক বলেন, যাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে, তাঁরা কেউ মামলার এজাহারভুক্ত আসামি নন। আগের করা মামলায় চালান দিয়ে তাঁদের কারাগারে পাঠানো হয়েছে। আজ বিএনপির ২৩ নেতা-কর্মীর জামিনের আবেদন করলে নামঞ্জুর করে পরবর্তী শুনানির দিন ২২ তারিখের গণসমাবেশের পরে ধার্য করেছেন আদালতের বিচারক।

বিএনপির খুলনা বিভাগীয় ভারপ্রাপ্ত সাংগঠনিক সম্পাদক অনিন্দ্য ইসলাম বলেন, ‘নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম লাগামছাড়া। মানুষের নাভিশ্বাস উঠেছে। এ জন্য আমরা রাজপথে সাধারণ মানুষের কাতারে দাঁড়িয়েছি। সাধারণ মানুষ ও দলীয় কর্মীদের মধ্যে ব্যাপক প্রাণচাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। এসব দেখে সরকার বিচলিত হয়ে নেতা-কর্মীদের আটকের মাধ্যমে হয়রানি করছে। খুলনার গণসমাবেশ ব্যর্থ করার ষড়যন্ত্র করছে সরকার। তবে এসব করে কর্মী-সমর্থকদের বাঁধভাঙা স্রোত সরকার থামাতে পারবে না। গণসমাবেশ যোগ দিতে কর্মীরা দৃঢ়প্রতিজ্ঞ।’