ঈশ্বরগঞ্জে পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় দুই গাড়ির চালক নিহত

দুর্ঘটনায় দুমড়ে–মুচড়ে যাওয়া ব্যক্তিগত গাড়ি। শনিবার সকালে ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলার হারুয়া বাসস্ট্যান্ডের অদূরে
ছবি: প্রথম আলো

ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলায় পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় দুই গাড়ির চালক নিহত হয়েছেন। গতকাল শনিবার দিবাগত রাত আড়াইটার দিকে উপজেলার চরহোসেন এলাকায় ও আজ শনিবার সকালে হারুয়া বাসস্ট্যান্ডের কাছে পৃথক এ দুর্ঘটনা ঘটে।

নিহত দুজন হলেন ট্রাকচালক আবদুল হেকিম (২৮) ও কারের চালক সাইফুল ইসলাম (৪১)। পুলিশ জানায়, আবদুল হেকিম বগুড়ার শিবগঞ্জ উপজেলার আরজিপাড়া গ্রামের সরকার উদ্দিনের ছেলে। আর সাইফুল ইসলাম ময়মনসিংহের ধোবাউড়া উপজেলার জিগাতলা গ্রামের আবদুল বারেকের ছেলে।

পুলিশ ও স্থানীয় বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, গতকাল রাত আড়াইটার দিকে উপজেলার চরহোসেন এলাকায় ময়মনসিংহ-কিশোরগঞ্জ মহাসড়কের পাশে ট্রাক থামিয়ে ভেতরে চালক আবদুল হেকিম ঘুমাচ্ছিলেন। এ সময় দ্রুতগতির আরেকটি ট্রাক মহাসড়কের পাশে রাখা ওই ট্রাকে ধাক্কা দিয়ে পালিয়ে যায়। এতে ঘুমিয়ে থাকা ট্রাকের চালক ঘটনাস্থলেই নিহত হন। এ ঘটনায় চালকের সহকারী মো. শাহিন মিয়াকে (২২) গুরুতর আহত অবস্থায় ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

অন্যদিকে আজ সকাল সাড়ে ছয়টার দিকে উপজেলার হারুয়া বাসস্ট্যান্ডের কাছে কিশোরগঞ্জ থেকে ছেড়ে আসা ময়মনসিংহগামী যাত্রীবাহী বাসের সঙ্গে কারের মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে কারের চালক সাইফুল ইসলাম ঘটনাস্থলেই নিহত হন।

ঈশ্বরগঞ্জ ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন কর্মকর্তা মো. দেলোয়ার হোসেন প্রথম আলোকে বলেন, নিহত দুই চালকের লাশ উদ্ধার করে থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।

ঈশ্বরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) পীরজাদা শেখ মোহাম্মদ মোস্তাছিনুর রহমান মুঠোফোনে প্রথম আলোকে বলেন, পরিবারের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে নিহত ট্রাকচালক আবদুল হেকিমের লাশ ময়নাতদন্ত ছাড়াই তাদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। অন্যদিকে কারটি ছিল ব্র্যাক কর্তৃপক্ষের। সংস্থাটি মামলা করবে জানালে নিহত সাইফুল ইসলামের লাশ ময়নাতদন্তের জন্য ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।