নারায়ণগঞ্জে নাশকতার ১২ মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হলো জেলা বিএনপির সভাপতিকে

নারায়ণগঞ্জের পাঁচ থানার নাশকতার ১২ মামলায় গ্রেপ্তার দেখাতে জেলা বিএনপির সভাপতি মুহাম্মদ গিয়াস উদ্দিনকে আদালতে নেওয়া হচ্ছে। রোববার দুপুরেছবি: প্রথম আলো

দুর্নীতির মামলায় কারাবন্দী নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির সভাপতি মুহাম্মদ গিয়াস উদ্দিনকে নারায়ণগঞ্জের পাঁচটি থানায় করা নাশকতার ১২টি মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। আজ রোববার দুপুরে পৃথক পাঁচটি আদালতে হাজির করে তাঁকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়। এ সময় গিয়াস উদ্দিনের পক্ষে আইনজীবীরা জামিনের আবেদন করলে নামঞ্জুর করেন আদালত।

গিয়াস উদ্দিন চারদলীয় জোট সরকারের আমলে নারায়ণগঞ্জ-৪ (ফতুল্লা-সিদ্ধিরগঞ্জ) আসনের সংসদ সদস্য ছিলেন। জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) করা মামলায় ১২ মে ঢাকার আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিনের আবেদন করলে শুনানি শেষে আদালত তাঁকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। এর পর থেকে তিনি কাশিমপুর কারাগারে ছিলেন।

জেলা আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি সাখাওয়াত হোসেন প্রথম আলোকে বলেন, নির্বাচনের আগে জেলা বিএনপির সভাপতি মুহাম্মদ গিয়াস উদ্দিনসহ বিএনপির নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে নাশকতার অসংখ্য মিথ্যা মামলা করা হয়েছে। জেলার পাঁচটি থানায় করা ১২টি রাজনৈতিক মামলায় আজ তাঁকে পৃথক পাঁচটি আদালতে হাজির করে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। তাঁরা জামিনের আবেদন করেছিলেন। শুনানি শেষে আদালত জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। ১২টি মামলার মধ্যে ফতুল্লায় চারটি, সিদ্ধিরগঞ্জে চারটি, সোনারগাঁয় দুটি এবং রূপগঞ্জ ও বন্দর থানায় একটি করে মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।

এর আগে সকালে কড়া নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে রাজধানীর কাশিমপুর কারাগার থেকে গিয়াস উদ্দিনকে নারায়ণগঞ্জ আদালতে হাজির করা হয়। এ খবরে বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীরা আদালত প্রাঙ্গণে ভিড় করেন। এ সময় আদালত প্রাঙ্গণে নিরাপত্তাব্যবস্থা জোরদার করা হয়।

নারায়ণগঞ্জ আদালত পুলিশের পরিদর্শক মো. আবদুর রশিদ প্রথম আলোকে বলেন, পাঁচটি থানায় করা ১২টি মামলায় গিয়াস উদ্দিনকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। তিনি মামলাগুলোতে পলাতক ছিলেন। তাঁর আইনজীবীরা জামিনের আবেদন করলে আদালত নামঞ্জুর করেন।

২০১৯ সালের ১৯ ডিসেম্বর ১ কোটি ৪১ লাখ টাকা জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে দুদক গিয়াস উদ্দিনের বিরুদ্ধে মামলা করেন। ওই মামলায় ১২ মে ঢাকা মহানগরের জ্যেষ্ঠ বিশেষ জজ মোহাম্মদ আসসামছ জগলুল হোসেনের আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিনের আবেদন করলে আদালত নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। এর পর থেকে তিনি কারাগারে আছেন।