ফুটফুটে বাচ্চা কোলে হাসিমুখে হাসপাতাল থেকে বাড়িতে ফিরলেন ইয়াছমিন

বাচ্চা নিয়ে বাড়ি ফেরার সময় ইয়াছমিন আক্তারকে ফুল দিয়ে বিদায় জানায় পটিয়া স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স কর্তৃপক্ষ। সোমবার বেলা সাড়ে ১১টায়
ছবি: প্রথম আলো

বাসে সন্তান প্রসব করা ইয়াছমিন আক্তার হাসপাতাল থেকে বাড়িতে ফিরেছেন। আজ সোমবার সকালে ফুটফুটে কন্যাসন্তান কোলে নিয়ে হাসিমুখে চট্টগ্রামের পটিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ছেড়ে নিজ বাড়ি কক্সবাজার জেলার দ্বীপ উপজেলা কুতুবদিয়ায় রওনা হন তিনি। যাওয়ার সময় তাঁর চোখে–মুখে যেমন আনন্দ ছিল, তেমনি পটিয়া হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের প্রতি ছিল আন্তরিক কৃতজ্ঞতা।

আজ বেলা সাড়ে ১১টায় স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স প্রাঙ্গণে ইয়াছমিনকে ফুল দিয়ে বিদায় জানান উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা সব্যসাচী নাথ, আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা (আরএমও) ফারহানা জেরিন, জরুরি বিভাগের চিকিৎসা কর্মকর্তা সাদিয়া সারিন এবং দুই প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত মিডওয়াইফ সাইদা বেগম ও তানজিদা আক্তার সুপ্তা। এ সময় তাঁরা ইয়াছমিনের হাতে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের উপহারসামগ্রী তুলে দেন। এ সময় ইয়াছমিনের স্বামী আবদুস শুক্কুর, শাশুড়ি রহিমা বেগম, খালা জেসমিন আক্তার ও তাঁর আড়াই বছরের আরেক শিশুকন্যা রুবা মনি পাশে ছিলেন।

আরও পড়ুন

বিদায় বেলায় সব্যসাচী নাথ বলেন, আজ সকালে ইয়াছমিন আক্তার ও শিশুটিকে হাসপাতাল ভালো করে চেকআপ করা হয়। মা–মেয়ে দুজনেই পুরোপুরি সুস্থ আছেন। তাই রোগীকে ছাড়পত্র দেওয়া হয়েছে।

হাসপাতালের চিকিৎসক, মিডওয়াইফ ও নার্সদের আন্তরিক কৃতজ্ঞতা জানিয়ে ইয়াছমিন বলেন, হাসপাতালে খুব ভালো সেবা পেয়েছেন তিনি। চিকিৎসকেরা সার্বক্ষণিক খোঁজখবর নিয়েছেন। হাসপাতালে এ বিষয়ে কোনো টাকাপয়সা খরচ করতে হয়নি। তাঁদের ঘরে চারটি কন্যাসন্তানের জন্ম হলেও সবাই খুশি বলে জানান ইয়াছমিন।

গতকাল রোববার কক্সবাজারের চকরিয়া থেকে একটি বাস পটিয়া বাইপাস সড়ক হয়ে চট্টগ্রামে যচ্ছিল। পথে বাসের যাত্রী অন্তঃসত্ত্বা ইয়াছমিনের প্রসবব্যথা ওঠে। যাত্রীদের অনুরোধে চালক বাসটি পটিয়া বাইপাসের ইন্দ্রোপুল থেকে ঘুরিয়ে সোজা নিয়ে যান পটিয়া স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মাঠে। যাত্রীরা দ্রুত বাস থেকে নেমে পড়েন। প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম নিয়ে চিকিৎসক ও প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত দুই মিডওয়াইফ ওঠেন বাসে। খানিক পরেই ফুটফুটে এক কন্যাসন্তানের জন্ম হয় সেই বাসে।

গতকাল শনিবার বিকেল সাড়ে চারটায় চট্টগ্রামের পটিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এ ঘটনা ঘটে। পরে তাঁদের স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি রাখা হয়। বাসে সন্তান প্রসব করা ইয়াছমিন আক্তার কক্সবাজারের কুতুবদিয়া উপজেলার মাতব্বরপাড়ার আবদুস শুক্কুরের স্ত্রী। আবদুস শুক্কুর সাগরে মাছ ধরার কাজ করেন।