মেয়েকে বিয়ে দিতে রাজি না হওয়ায় রিকশাচালককে পিটিয়ে হত্যা, স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতা আটক
বগুড়ায় স্কুলপড়ুয়া মেয়েকে বিয়ে দিতে রাজি না হওয়ায় রিকশাচালক বাবাকে তুলে নিয়ে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের এক নেতার বিরুদ্ধে। শনিবার সন্ধ্যার আগে শহরের ফুলবাড়ী মধ্যপাড়া করতোয়া নদীর ঘাটসংলগ্ন এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
নিহত রিকশাচালকের নাম মো. শাকিল মিয়া (৩২)। তাঁর বাড়ি শহরের শিববাট্টি এলাকায়। এ ঘটনায় অভিযুক্ত জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতা জিতু ইসলাম এবং তাঁর সহযোগী মতিউর রহমানকে আটক করেছে পুলিশ। আটক জিতু ইসলাম বগুড়া জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সহসাধারণ সম্পাদক বলে সাংগঠনিক সূত্র নিশ্চিত করেছে।
বগুড়া জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি সরকার মুকুল বলেন, জিতু ইসলামকে সংগঠন থেকে বহিষ্কারের সুপারিশ করে কেন্দ্রে চিঠি পাঠানো হয়েছে।
রিকশাচালক শাকিল মিয়ার মামা সিফাত হোসেন বলেন, কয়েক দিন আগে জিতু শাকিলের স্কুলপড়ুয়া মেয়েকে বিয়ের প্রস্তাব দেন। তবে মেয়েকে বাল্যবিবাহ দিতে রাজি ছিলেন না শাকিল। এ নিয়ে শাকিলের ওপর ক্ষুব্ধ হন জিতু। এর জেরে শনিবার সকালে উভয়ের মধ্যে বাগ্বিতণ্ডা হয়। একপর্যায়ে জিতুকে থাপ্পড় মাড়েন শাকিল। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে জিতু ও তাঁর সহযোগীরা শাকিলকে বেধড়ক মারধর করেন। একপর্যায়ে কৌশলে পালিয়ে যান শাকিল।
বগুড়া সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হাসান বাসির বলেন, সকালের ওই ঘটনার জেরে বিকেলের দিকে জিতু ও তাঁর সহযোগীরা শাকিল মিয়াকে বাড়ি থেকে তুলে মারধরের পর ‘মব’ তৈরি করে পুলিশে সোপর্দ করার চেষ্টা করেন। পরে পুলিশ তাঁকে রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করে বগুড়ার শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যায়। সন্ধ্যার দিকে চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।
বগুড়া সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোস্তফা মঞ্জুর বলেন, শাকিল হত্যার ঘটনায় জিতু ও তাঁর একজন সহযোগীকে আটক করা হয়েছে। এ ঘটনায় জড়িত অন্যদের ধরতে পুলিশ মাঠে নেমেছে।