মিয়ানমার সীমান্তে স্থলমাইন বিস্ফোরণে আবারও একজনের পা বিচ্ছিন্ন
বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ঘুমধুম ইউনিয়নের মিয়ানমার সীমান্তে স্থলমাইন বিস্ফোরণে মোহাম্মদ হোসেন (৩৩) নামের এক ব্যক্তির পা বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। আজ রোববার সকাল ১১টার দিকে শূন্যরেখা পার হয়ে বাঁশ কাটতে গিয়ে এ দুর্ঘটনার শিকার হন তিনি। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন নাইক্ষ্যংছড়ি থানার পুলিশ ও স্থানীয় বাসিন্দারা।
মোহাম্মদ হোসেন কক্সবাজারের উখিয়া উপজেলার হলদিয়াপালং ইউনিয়নের বাচা মিয়ার ছেলে। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, আজ সকালে তিনি একাই বাইশফাঁড়ি এলাকার নিকুছড়ি হয়ে সীমান্ত পার হন। মিয়ানমারের কাঁটাতারের বেড়ার কাছাকাছি বাঁশ কাটার সময় হঠাৎ মাইন বিস্ফোরণ ঘটে। এতে তাঁর বাঁ পা উড়ে যায়।
বিস্ফোরণের পর ঘটনাস্থলে কেউ না থাকায় আহত অবস্থায় মোহাম্মদ হোসেন হামাগুড়ি দিয়ে সীমান্ত সড়কের কাছে আসেন। পরে সড়ক নির্মাণকাজে নিয়োজিত সেনাবাহিনীর ইঞ্জিনিয়ারিং কনস্ট্রাকশন ব্যাটালিয়নের (ইসিবি) সদস্যরা তাঁকে উদ্ধার করেন।
নাইক্ষ্যংছড়ি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাসরুরুল হক প্রথম আলোকে বলেন, ঘুমধুমের ৪২ ও ৪৩ নম্বর সীমান্ত পিলারের মাঝামাঝি বাইশফাঁড়ি দিয়ে মোহাম্মদ হোসেন শূন্যরেখা পার হয়ে মিয়ানমারের দেড় শ মিটার ভেতরে গিয়ে বাঁশ কাটছিলেন। সেখানে মাইন বিস্ফোরণে তাঁর পা বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। ইসিবির সদস্যরা উদ্ধার না করলে তাঁর অবস্থা আরও গুরুতর হতে পারত। বর্তমানে তিনি উখিয়ার কুতুপালং রোহিঙ্গা আশ্রয়শিবির এলাকায় বেসরকারি সংস্থা এমএসএফের পরিচালিত ফিল্ড হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
এর আগে গত ২৭ জুন একই ইউনিয়নের তুমব্রু সীমান্তে একজন রোহিঙ্গা মাইন বিস্ফোরণে পা হারান। চলতি বছর সাড়ে ছয় মাসে নাইক্ষ্যংছড়ি সীমান্তে মাইন বিস্ফোরণে মোহাম্মদ হোসেনসহ ১১ জন পা হারালেন।