শেরপুরে ধানখেতের কাদাপানিতে আটকে মারা যাওয়া হাতিটি উদ্ধার

শেরপুরের ঝিনাইগাতী উপজেলার গারো পাহাড় এলাকা থেকে উদ্ধার করা হাতির মৃতদেহ। শনিবার সকালে উপজেলার কাংশা ইউনিয়নের সীমান্তঘেঁষা পশ্চিম বাকাকুড়া গ্রামে
ছবি: প্রথম আলো

শেরপুরের ঝিনাইগাতী উপজেলার গারো পাহাড় এলাকা থেকে একটি বন্য হাতির মৃতদেহ উদ্ধার করেছে বন বিভাগ। আজ শনিবার সকালে উপজেলার কাংশা ইউনিয়নের সীমান্তঘেঁষা পশ্চিম বাকাকুড়া গ্রামের একটি ধানখেত থেকে হাতিটির মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়।

বন বিভাগ ও স্থানীয় লোকজনের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, বেশ কয়েক দিন ধরে সীমান্তের ওপার থেকে খাবারের সন্ধানে একদল বন্য হাতি শেরপুরের শ্রীবরদী, ঝিনাইগাতী ও নালিতাবাড়ী উপজেলার বিভিন্ন গ্রামে নেমে আসছে। হাতিগুলো ওই এলাকার কৃষকদের পাকা ধান খেয়ে ও মাড়িয়ে নষ্ট করছে। এরই ধারাবাহিকতায় গতকাল শুক্রবার দিবাগত রাতে একদল হাতি ঝিনাইগাতী উপজেলার পশ্চিম বাকাকুড়া গ্রামের ধানখেতে নেমে বোরো ধান নষ্ট করে। এ সময় একটি হাতি ধানখেতের কাদাপানিতে আটকে মারা যায়।

এলাকাবাসীর কাছ থেকে খবর পেয়ে আজ সকালে ঘটনাস্থল থেকে হাতিটির মৃতদেহ উদ্ধার করেন বন বিভাগের কর্মকর্তারা। মৃত হাতিটি পুরুষ। বয়স সাড়ে তিন থেকে চার বছর বলে জানিয়েছে বন বিভাগ।

বন বিভাগের ঝিনাইগাতীর রাংটিয়া রেঞ্জ কর্মকর্তা মো. মকরুল ইসলাম আকন্দ প্রথম আলোকে বলেন, কয়েক দিন ধরে হাতির দল সীমান্ত এলাকায় ঢুকে পড়ছে। বন বিভাগের পক্ষ থেকে সব সময় পাহারা দেওয়া হচ্ছে, যাতে হাতি ও মানুষের কোনো ক্ষতি না হয়। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, ফসল বাঁচাতে স্থানীয় কৃষকের দেওয়া বৈদ্যুতিক তারে জড়িয়ে হাতিটি মারা গেছে। ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন পাওয়ার পর মৃত্যুর প্রকৃত কারণ নিশ্চিত হওয়া যাবে। ঘটনাস্থল থেকে বৈদ্যুতিক ও জিআই তার জব্দ করা হয়েছে বলে তিনি জানান।

ঝিনাইগাতী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ফারুক আল মাসুদ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, ‘ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন পাওয়ার পর এ ব্যাপারে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

জেলা বন্য প্রাণী সংরক্ষণ ও জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ কর্মকর্তা সুমন কুমার সরকার বলেন, চলতি বছর এই প্রথম হাতির মৃতদেহ উদ্ধার করা হলো। এর আগে ২০২২ সালে দুটি এবং ২০২১ সালে তিনটি হাতির মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছিল।