আড়িয়ল বিলে কৃষকদের সঙ্গে ধান কাটলেন দুই উপদেষ্টা

মুন্সিগঞ্জের শ্রীনগর উপজেলায় আড়িয়ল বিলে কৃষকদের সঙ্গে ধান কাটলেন স্বরাষ্ট্র ও কৃষি উপদেষ্টা জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী এবং শিল্প ও গৃহায়ণ উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান। শনিবার বিকেলে
ছবি: সংগৃহীত

মুন্সিগঞ্জের শ্রীনগরে আড়িয়ল বিলে কৃষকদের সঙ্গে ধানকাটায় অংশ নিলেন অন্তর্বর্তী সরকারের স্বরাষ্ট্র ও কৃষি উপদেষ্টা জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী এবং শিল্প ও গৃহায়ণ উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান। আজ শনিবার বিকেলে দেশের মধ্যাঞ্চলের সবচেয়ে বড় ও প্রাচীন আড়িয়ল বিলে ধানকাটা ও মাড়াই কার্যক্রম পরিদর্শনে এসে তাঁরা ধানকাটায় অংশ নেন।

ধান কাটা কার্যক্রমে অংশগ্রহণ শেষে উপদেষ্টারা কৃষকদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন। সেখানে তাঁরা কৃষকদের নানা সমস্যার কথা শোনেন এবং সেসব সমস্যা সমাধানের আশ্বাস দেন।

আড়িয়ল বিলে উৎপাদিত সবজি সংরক্ষণের বিষয়ে উপদেষ্টা জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেন, কৃষকদের উৎপাদিত ফসল নিয়ে আর বিপাকে পড়তে হবে না। ফসল সংরক্ষণের জন্য আড়িয়ল বিল এলাকায় দুটি কোল্ডস্টোরেজ (হিমাগার) এ বছরের মধ্যেই নির্মাণ করা হবে বলে তিনি জানান।

আড়িয়ল বিলে অবৈধভাবে মাটি কাটা প্রসঙ্গে কৃষি উপদেষ্টা বলেন, যাঁরা অবৈধভাবে মাটি কাটছেন, তাঁদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। মাটি লুটকারীদের ধরতে উপজেলার আলমপুর এলাকার যে সড়ক দিয়ে মাটি বহনকারী গাড়ি যাতায়াত করে, সে পথে পুলিশের দুটি চেকপোস্ট বসানো হবে। মুন্সিগঞ্জ জেলায় ১৯০ কিলোমিটার খাল খননের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে, এর মধ্যে শ্রীনগরে ৩৫ কিলোমিটার খাল খনন করা হবে।

দুর্নীতি বন্ধ হলে এ দেশ অনেক দূর এগিয়ে যাবে মন্তব্য করে জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেন, ‘আপনারা দোয়া করেন, এদেশ থেকে যেন দুর্নীতি বন্ধ হয়ে যায়। দুর্নীতি বন্ধ হলে এ দেশ খলখল করে এগিয়ে যাবে।’

কৃষকের আবদার এবং স্বরাষ্ট্র ও কৃষি উপদেষ্টা জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরীর কৃষি নিয়ে উন্নয়নমূলক পরিকল্পনা প্রসঙ্গে শিল্প ও গৃহায়ণ উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান বলেন, ‘আড়িয়ল বিলের প্রাণবৈচিত্র্য ও জীববৈচিত্র্য রক্ষা করে, কৃষকের অধিকার রক্ষা করে যেন উন্নয়নটা হয়। পরিবেশ রক্ষা করে কাজ করতে হবে। এখানে আপনারা (কৃষকেরা) সহযোগিতা করবেন।’

এ সময় দুই উপদেষ্টার সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন গৃহায়ন ও গণপূর্ত সচিব মো. নজরুল ইসলাম, কৃষিসচিব মোহাম্মদ এমদাদ উল্লাহ (মিয়ান), মুন্সিগঞ্জ জেলা প্রশাসক ফাতেমা তুল জান্নাত, পুলিশ সুপার শামসুল আলম সরকারসহ জেলার ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।