গণপরিবহনের মালিক ও শ্রমিকেরা জনগণকে জিম্মি করছে: ক্যাব

বিভিন্ন দাবিতে চট্টগ্রামে চলা ৪৮ ঘণ্টার পরিবহন ধর্মঘট প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছে ক্রেতা-ভোক্তাদের স্বার্থ সংরক্ষণকারী জাতীয় প্রতিষ্ঠান কনজ্যুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ক্যাব। আজ রোববার গণমাধ্যমে পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে ক্যাবের নেতারা বলেছেন, গণপরিবহনের মালিক ও শ্রমিকেরা দেশের আইনের শাসনের প্রতি বৃদ্ধাঙ্গুলি প্রদর্শন করে বারবার জনগণকে জিম্মি করছেন। বেপরোয়া গাড়ি চালিয়ে মানুষ হত্যা করার প্রতিবাদ মানুষ করছে। আর এতেই ধর্মঘটের নামে মানুষকে জিম্মি করা হচ্ছে। এটি বর্বরতা।

ক্যাবের বিবৃতিতে বলা হয়, গণপরিবহনের মালিক ও শ্রমিকদের সরকারের পক্ষ থেকে নানাভাবে প্রণোদনা দেওয়া হয়েছে। এ কারণে তাঁরা এ ধরনের অবৈধ ধর্মঘট পালন করছে। সরকারও কোনো ব্যবস্থা নিচ্ছে না। এ ছাড়া সড়ক পরিবহন খাতে পরিবহন মালিক ও শ্রমিকেরাই নীতি প্রণয়ন ও সিদ্ধান্ত নিচ্ছে। আর খেসারত দিচ্ছে জনগণ।

জানতে চাইলে ক্যাবের কেন্দ্রীয় কমিটির সহসভাপতি এস এম নাজের হোসাইন প্রথম আলোকে বলেন, প্রতিনিয়ত সড়কে দুর্ঘটনা ঘটছে। মূল্যবান জীবন হারিয়ে যাচ্ছে। লাইসেন্সবিহীন অদক্ষ চালকেরা গাড়ি চালান। অনেক যানবাহনের ফিটনেস থাকে না। তবু সড়ক দাপিয়ে বেড়াচ্ছে। কিন্তু এসব বন্ধ হচ্ছে না। সরকারি সংস্থাগুলো সড়কের এ নৈরাজ্য বন্ধ করতে পারছে না।

চট্টগ্রামসহ পাঁচটি জেলায় আজ সকাল ৬টা থেকে ৪৮ ঘণ্টার পরিবহন ধর্মঘট পালিত হচ্ছে। চট্টগ্রাম নগর থেকে বিভিন্ন উপজেলা, কক্সবাজার জেলা, রাঙামাটি, বান্দরবান ও খাগড়াছড়ি জেলার উদ্দেশে কোনো বাস ছেড়ে যাচ্ছে না। ওই সব এলাকা থেকে কোনো বাসও আসছে না। জেলার শহর এলাকায়ও চলছে না গণপরিবহন। খোলার দিনের সকালে কর্মক্ষেত্রে যেতে হাজারো মানুষকে বেগ পেতে হয়েছে।

মূলত চারটি দাবিতে এ ধর্মঘট পালন করছেন গণপরিবহনের মালিক ও শ্রমিকেরা। গণপরিবহন মালিক ও শ্রমিকের বিরুদ্ধে দেওয়া মামলা প্রত্যাহার ও গ্রেপ্তার মালিক-শ্রমিকের মুক্তি, সড়কে অবৈধ যানবাহন চলাচল পুরোপুরি বন্ধ করা, বিভিন্ন জায়গায় বাস আটকে রাখার প্রতিবাদ ও চুয়েটে পুড়িয়ে দেওয়া তিনটি বাসের ক্ষতিপূরণের দাবিতে ধর্মঘট চলছে। গতকাল শনিবার মালিক ও শ্রমিকের যৌথ সভায় এসব দাবি তুলে ধরা হয়।