নরেন্দ্র মুন্ডা হত্যার বিচার দাবিতে অবস্থান কর্মসূচি

সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলায় নরেন্দ্র মুন্ডাকে হত্যা ও মুন্ডা সম্প্রদায়ের ওপর হামলার বিচার দাবিতে অবস্থান কর্মসূচি পালন করা হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার সকাল ১০টায় শ্যামনগর উপজেলা পরিষদ চত্বরে ‘সাতক্ষীরা মুন্ডা সম্প্রদায়ের স্বার্থ সংরক্ষণ ও আন্দোলন–সংগ্রাম কমিটি’ ব্যানারে এ কর্মসূচি পালন করা হয়।

কমিটির আহ্বায়ক আশেক-ই-এলাহির সভাপতিত্বে ও যুগ্ম আহ্বায়ক দীপংকর বিশ্বাসের সঞ্চালনায় অবস্থান কর্মসূচিতে বক্তৃতা করেন সাতক্ষীরা জেলা জাসদের সভাপতি শেখ ওবায়েদুস সুলতান, জেলা আওয়ামী লীগের আইনবিষয়ক সম্পাদক ওসমান গনি, সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি রক্ষা কমিটির সদস্যসচিব আলিনুর খান, বাসদের সদস্য আবু তালেব, খগেন্দ্রনাথ ঘোষ, জাসদ সাতক্ষীরার সাধারণ সম্পাদক ইদ্রিস আলী, সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের সভাপতি মমতাজ আহমেদ, জেলা ভূমিহীন শ্যামনগর উপজেলা দলিত পরিষদের সঞ্জয় সরকার, বীর মুক্তিযোদ্ধা নজরুল ইসলাম, আলী আশরাফ, শ্যামনগর উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আবদুস সাত্তার, জেলা এনজিও সমন্বয় কমিটির সমন্বয়ক জি এম মনিরুজ্জামান, শ্যামনগর উপজেলা প্রেসক্লাবের সভাপতি জি এম আকবার কবির, সুন্দরবন আদিবাসী মুন্ডা সংস্থার নির্বাহী পরিচালক কৃষ্ণপদ মুন্ডা প্রমুখ। অবস্থান কর্মসূচিতে সংহতি প্রকাশ করে নরেন্দ্র মুন্ডা হত্যার বিচার কার্যক্রমে সব ধরনের সহযোগিতার আশ্বাস দেন শ্যামনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আক্তার হোসেন।

বক্তারা বলেন, নরেন্দ্র মুন্ডাকে হত্যা করে শ্যামনগরের মাটি থেকে মুন্ডাদের বিলীন করা যাবে না। নরেন্দ্র মুন্ডার রক্তের বিনিময়ে মুন্ডা সম্প্রদায়ের অধিকার প্রতিষ্ঠিত হবে। জঘন্য হামলার সঙ্গে যাঁরা জড়িত ও মদদদাতা, তাঁদের চিহ্নিত করে আইনের আওতায় আনতে হবে।

বক্তারা আরও বলেন, ২০০৫ সালে মুন্ডাদের ওপর হামলা করা হয়েছিল। ২০১৮ সালেও হামলা হয়। আবার ২০২২ সালেও হামলা করা হয়েছে। শুধু সম্পত্তির লোভে তাদের ওপর একের পর এক হামলা চালানো হচ্ছে। হামলাকারীদের সিন্ডিকেট ভাঙতে হবে। নরেন্দ্র মুন্ডা হত্যার বিচার নিশ্চিত করতে হলে আন্দোলনের বিকল্প নেই। এ হত্যার বিচার নিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন অব্যাহত থাকবে। প্রয়োজন হলে আরও কঠোর কর্মসূচির মাধ্যমে ন্যায়বিচার নিশ্চিত করা হবে।

গত ১৯ আগস্ট জমি নিয়ে বিরোধের জেরে মুন্ডাপল্লিতে হামলার ঘটনা ঘটে। এতে নারীসহ চারজন আহত হন। চিকিৎসাধীন অবস্থায় পরদিন আহত নরেন্দ্রনাথ মুন্ডার মৃত্যু হয়।

শ্যামনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা কাজী ওয়াহিদ মোর্শেদ বলেন, ১৯ আগস্ট শ্যামনগর ধুমঘাট অন্তখালী মুন্ডাপল্লিতে হামলা হয়। হামলায় আহত নরেন্দ্র মুন্ডা পরদিন সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। এ ঘটনায় তাঁর ভাতিজা ফণিন্দ্রনাথ মুন্ডা বাদী হয়ে ২২ জনের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাতনামা ১৭০ জনকে আসামি করে মামলা করেন। এ পর্যন্ত পুলিশ পাঁচ আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে।