‘এমন কুলাঙ্গার ছেলে আমার লাগবে না, পুলিশ ধরছে বিচার হোক’
মাদারীপুরে মাদক সেবনে বাধা দেওয়ায় ঘুমন্ত চাচাকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে জখমের ঘটনায় অভিযুক্ত ভাতিজাকে আটক করেছে পুলিশ। গতকাল শনিবার রাত নয়টার দিকে সদর উপজেলার ছিলারচর ইউনিয়নের পূর্ব ছিলারচর এলাকা থেকে তাঁকে আটক করা হয়। আটক ব্যক্তির নাম ইকবাল আকন (২৫)। তিনি সদর উপজেলার ছিলারচর ইউনিয়নের হাওলা এলাকার বাসিন্দা।
মাদারীপুর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনোয়ার হোসেন চৌধুরী প্রথম আলোকে বলেন, ইকবাল তাঁর চাচাকে এলোপাতাড়ি কোপানোর পরই ঘর থেকে বের হয়ে যান। পরে পুলিশ অভিযান চালিয়ে রাতেই তাঁকে আটক করে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তিনি চাচাকে কোপানোর কথা স্বীকার করেছেন। কারণ হিসেবে তিনি জানিয়েছেন, চাচার প্রতি তাঁর একটি চাপা ক্ষোভ ছিল। চাচা মজিবুর প্রায়ই ইকবালের কার্যকলাপে বকাবকি করতেন, শাসন করতেন। এসব থেকে ক্ষোভের সৃষ্টি। এ ছাড়া ইকবাল মাদকাসক্ত। এ কারণেও তিনি তাঁর চাচাকে মারতে এ হামলা চালাতে পারেন।
ওসি মনোয়ার হোসেন চৌধুরী বলেন, আহত মজিবুর আকনের অবস্থা সংকটাপন্ন। ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে তাঁর চিকিৎসা চলছে। এ ঘটনায় মামলা প্রক্রিয়াধীন।
পুলিশ ও স্থানীয় লোকজনের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ছিলারচর এলাকার বাসিন্দা মজিবুর আকন (৬০) গতকাল শনিবার দুপুরের খাবারের পর তাঁর ঘরের একটি কক্ষে ঘুমিয়ে ছিলেন। তাঁর ঘরের পাশের কক্ষে থাকেন ভাতিজা ইকবাল আকন। বিকেল চারটার দিকে ইকবাল তাঁর চাচার ঘরে ঢুকে তাঁকে রামদা দিয়ে এলোপাতাড়ি কোপাতে থাকেন। মজিবুর আকনের চিৎকারে পরিবারের অন্য সদস্যরা ছুটে যান। এরপর তাঁকে উদ্ধার করে মাদারীপুর সদর হাসপাতালে নেওয়া হয়। তাঁর অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় সন্ধ্যার দিকে তাঁকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠান চিকিৎসকেরা। বর্তমানে তিনি সেখানে চিকিৎসাধীন।
অভিযুক্ত ইকবাল আকনের বাবা রাজ্জাক আকন প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমার ভাই ভালো মানুষ। আমার ছেলেই ভালো না। শুধু শাসন করায় আমার ছেলে আমার ভাইকে কোপাইছে। এমন কুলাঙ্গার ছেলে আমার লাগবে না। পুলিশ ধরছে ওরে, ওর বিচার হোক।’