প্রশ্নপত্র ফাঁসের অভিযোগে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই কর্মচারী সাময়িক বরখাস্ত

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়
ফাইল ছবি

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের রসায়ন বিভাগের ৪৭তম ব্যাচের সম্মান চূড়ান্ত পরীক্ষায় প্রশ্নপত্র ফাঁসে জড়িত অভিযোগে দুই কর্মচারীকে সাময়িক বরখাস্ত করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। তাঁরা হলেন রসায়ন বিভাগের সিনিয়র সর্টার (গ্রেড-৩) শহিদুল ইসলাম ও সিনিয়র সর্টার (গ্রেড-১) মোহাম্মদ আলী আশ্রাফ।

বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য মো. নূরুল আলমের সভাপতিত্বে গত রোববার অনুষ্ঠিত এক জরুরি সিন্ডকেট সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। আজ মঙ্গলবার দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার আবু হাসান প্রথম আলোকে বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, গত ১১ জুন রসায়ন বিভাগের ৪৭তম ব্যাচের স্নাতক চতুর্থ বর্ষের চূড়ান্ত পরীক্ষার ৪৩৩ নম্বর কোর্সের পরীক্ষা ছিল। সেদিন আগে থেকে লিখে রাখা উত্তরপত্র নিয়ে পরীক্ষার হলে প্রবেশের অভিযোগে জাহিদ মোস্তফা নামের এক শিক্ষার্থীর খাতা বাতিল করা হয়। পরে প্রশ্নপত্র ফাঁসের বিষয়টি আলোচনায় এলে বিভাগের পক্ষ থেকে ১৩ জুন তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। পাশাপাশি ওই বর্ষের পরীক্ষা স্থগিত করা হয়।

রেজিস্ট্রার আবু হাসান বলেন, বিভাগীয় একাডেমিক কমিটির গঠিত তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন বিবেচনা করে অভিযুক্ত ব্যক্তিদের সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। এ ছাড়া এ ঘটনায় দায়দায়িত্ব পর্যালোচনা করে বিস্তারিত প্রতিবেদন দেওয়ার জন্য চার সদস্যবিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। এতে সহ–উপাচার্যকে (শিক্ষা) প্রধান ও ডেপুটি রেজিস্ট্রার (আইন) মাহতাব-উজ-জাহিদকে সদস্যসচিব করা হয়েছে। কমিটিকে আগামী তিন সপ্তাহের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে।

আবু হাসান বলেন, ওই ব্যাচের পূর্বের পরীক্ষা কমিটি বাতিল করে নতুন পরীক্ষা কমিটি গঠন করে স্থগিত বাকি পরীক্ষা নিতে বলা হয়েছে। তবে অভিযুক্ত শিক্ষার্থী জাহিদ মোস্তফার সব পরীক্ষা বাতিল করা হয়েছে। পরবর্তী সময়ে অনুষ্ঠেয় বাকি পরীক্ষা তিনি দিতে পারবেন না। তাঁর শাস্তির ব্যাপারে তদন্ত কমিটি সুপারিশ করবে।