কক্সবাজার শহর থেকে ককটেল, বিস্ফোরকসহ আরসার তিন সদস্য গ্রেপ্তার
কক্সবাজারের কলাতলীর ডিসি পাহাড়সংলগ্ন আদর্শগ্রামে অভিযান চালিয়ে ককটেল, বিস্ফোরক, বোমা তৈরির সরঞ্জামসহ মিয়ানমারের সশস্ত্র গোষ্ঠী আরকান স্যালভেশন আর্মির (আরসা) তিন সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব। গতকাল শনিবার রাত ৯টার দিকে এ অভিযান চালায় র্যাব-১৫ কক্সবাজার ব্যাটালিয়নের সদস্যরা।
গ্রেপ্তার আরসার সদস্যরা হলেন—কুতুপালং আশ্রয়শিবিরের (ক্যাম্প-৩) হাফেজ রহমত উল্লাহ (৩৫), উখিয়ার ক্যাম্প-৫ আশ্রয়শিবিরের মঞ্জুর আলম (২৩) ও একই আশ্রয়শিবিরের বি-৪ ব্লকের নুরুল ইসলাম (২৫)। তাঁদের মধ্যে হাফেজ রহমত উল্লাহ আরসার লজিস্টিক (সরঞ্জাম সরবরাহ) শাখার প্রধান বলে জানা গেছে।
অভিযানে বোমা তৈরির ৪ দশমিক ৯ কেজি বিস্ফোরক দ্রব্য, ১৫টি ককটেল, আইইডি তৈরির সরঞ্জাম, ১ দশমিক ৫ কেজি পারদ, ১টি ওয়াকিটকি, ৫৩টি সার্কিট, ৯ বান্ডিল সামরিক পোশাক তৈরির কাপড়, ৭০টি গেঞ্জি, ১২টি টুপি, ১৩০টি হ্যান্ড গ্লাভস, ২ হাজার ২৯০ টাকা, ২টি মুঠোফোন ও ১টি ল্যাপটপ উদ্ধার করা হয়।
আজ রোববার দুপুরে র্যাব-১৫ কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করে আরসার তিন সন্ত্রাসীকে গ্রেপ্তারের কথা জানান অধিনায়ক লে. কর্নেল এইচ এম সাজ্জাত হোসেন। তিনি বলেন, উখিয়ার আশ্রয়শিবিরে র্যাবের অভিযানে বিপুল অস্ত্র, গোলাবারুদ, বিস্ফোরকদ্রব্যসহ ইতিমধ্যে আরসার কয়েকজন কমান্ডারসহ অন্তত ৮৩ জন সন্ত্রাসীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বেকায়দায় পড়ে আরসা এখন ক্যাম্পের বাইরে কক্সবাজারের বিভিন্ন পাহাড়ি এলাকায় অবস্থায় নিয়ে নাশকতার চক্রান্ত চালাচ্ছে। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে গতকাল রাতে শহরের কলাতলীর আদর্শগ্রাম পাহাড়ের আস্তানা থেকে ককটেল-বিস্ফোরকসহ আরসার লজিস্টিক শাখার প্রধানসহ তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
র্যাব-১৫ কক্সবাজার ব্যাটালিয়নের সিনিয়র সহকারী পরিচালক (আইন ও গণমাধ্যম) ও অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. আবু সালাম চৌধুরী গ্রেপ্তার হাফেজ রহমত উল্লাহর বরাত দিয়ে জানান, গ্রেপ্তার তিনজন বিভিন্ন উৎস থেকে আরসার জন্য প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম বিশেষ করে ইউনিফরমের কাপড়, শীতবস্ত্র, রেইন কোট, বুট জুতা, মোজা, বেল্ট, ক্যাপ, ব্যাগ এবং বোমা ও মাইন বানানোর জন্য রাসায়নিক, ফোম, টর্চ লাইট, ব্যাটারিসহ নানা ধরনের সামগ্রী কিনে কক্সবাজারের বিভিন্ন স্থানে তা জমা রাখতেন। পরবর্তী সময়ে আরসার সেকেন্ড ইন কমান্ড খালেদের নির্দেশনা অনুয়ায়ী এসব সরঞ্জাম উখিয়া ও টেকনাফের বিভিন্ন রোহিঙ্গা ক্যাম্পে পৌঁছে দিতেন। গ্রেপ্তার তিন রোহিঙ্গা সন্ত্রাসীকে কক্সবাজার সদর মডেল থানায় হস্তান্তর করে মামলা করা হয়েছে।