বাংলাদেশ কংগ্রেসের প্রার্থীর গণসংযোগে হামলা, ছাত্রলীগের সভাপতি গ্রেপ্তার

নোয়াখালী জেলার মানচিত্র

নোয়াখালী-১ (চাটখিল-সোনাইমুড়ী আংশিক) আসনে বাংলাদেশ কংগ্রেসের ডাব প্রতীকের প্রার্থী আবু নাছের ওয়াহেদের নির্বাচনী গণসংযোগে হামলা করেছে ছাত্রলীগ। গতকাল শনিবার সন্ধ্যায় চাটখিল উপজেলার পরকোট ইউনিয়নের দশগরিয়া বাজারে নির্বাচনী গণসংযোগের সময় ওই হামলার ঘটনা ঘটে।

এ ঘটনায় পুলিশ অভিযোগ পেয়ে তাৎক্ষণিক অভিযান চালিয়ে স্থানীয় পরকোট ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি হাবিব আদনান ও সাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলামকে গ্রেপ্তার করে।

বাংলাদেশ কংগ্রেসের প্রার্থী আবু নাছের ওয়াহেদ অভিযোগ বলেন, তিনি তাঁর কর্মী–সমর্থকদের নিয়ে গতকাল সন্ধ্যায় পরকোট এলাকায় নির্বাচনী গণসংযোগে যান। এ সময় ছাত্রলীগের পরকোট ইউনিয়নের সভাপতি হাবিব আদনান ও সাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলামের নেতৃত্বে ৮ থেকে ১০ জন ব্যক্তি লাঠিসোঁটা নিয়ে হামলা করেন। এতে চারজন কর্মী-সমর্থক আহত হন। আহত ব্যক্তিরা হলেন—মো. বেলাল হোসেন, মো. রাশেদ, মোহাম্মদ সাইমন ও মোহাম্মদ নিশাত। আহত ব্যক্তিদের উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।

চাটখিল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মুহাম্মদ ইমদাদুল হক প্রথম আলোকে বলেন, প্রার্থীর কাছ থেকে অভিযোগ পাওয়ার পরপরই সেখানে অভিযান চালিয়ে দুজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এ ঘটনায় প্রার্থী নিজেই বাদী হয়ে থানায় মামলা করেছেন।

এর আগে গত শুক্রবার রাতে ঈগল প্রতীকের প্রার্থী খন্দকার রুহুল আমীন চাটখিল উপজেলার পাঁচগাও ইউনিয়নে নির্বাচনী প্রচারণা চালাতে গিয়ে হামলার শিকার হন। পরে তিনি স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের নাম উল্লেখ করে থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন।

নোয়াখালী- ১ আসনে মোট ৮ জন প্রার্থী নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। তাঁরা হলেন—আওয়ামী লীগের প্রার্থী এইচ এম ইব্রাহিম, স্বতন্ত্র প্রার্থী খন্দকার রুহুল আমীন, গণফ্রন্টের মো. খোরশেদ আলম, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের হারুন অর রশিদ, ইসলামিক ফ্রন্ট বাংলাদেশের মো. শাহ আলম, বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্টের মো. মমিনুল ইসলাম, তরিকত ফেডারেশনের এ কে এম সেলিম ভূঁইয়া, বাংলাদেশ কংগ্রেসের আবু নাছের ওয়াহেদ ফারুক। এর মধ্যে দ্বৈত নাগরিকত্ব প্রশ্নে স্বতন্ত্র প্রার্থী খন্দকার রুহুল আমীনের প্রার্থিতার বৈধতার বিষয়টি আদালতে গড়িয়েছে। এ নিয়ে আগামী ২ জানুয়ারি আদালতে শুনানি রয়েছে।