ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে ডাকাতি-ছিনতাই বন্ধের দাবিতে দাউদকান্দিতে যানচালকদের বিক্ষোভ

ডাকাতি-ছিনতাই বন্ধের দাবিতে যানচালকদের বিক্ষোভ। রোববার কুমিল্লার দাউদকান্দি উপজেলার ইলিয়টগঞ্জে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কেছবি: প্রথম আলো

কুমিল্লার দাউদকান্দি উপজেলায় ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে ডাকাতি-ছিনতাই বন্ধের দাবিতে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশ করেছেন হালকা মোটরযানের চালকেরা। আজ রোববার সকাল সাড়ে ৯টা থেকে দুপুর সাড়ে ১২টা পর্যন্ত উপজেলার ইলিয়টগঞ্জ বাজার এলাকায় তাঁরা মানববন্ধন করেন।

কর্মসূচিতে কুমিল্লার কয়েক শ হালকা যানবাহনের মালিক ও চালক অংশ নেন। কর্মসূচির একপর্যায়ে সকাল ১০টা ৫৫ মিনিটে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক অবরোধ করলে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। এতে ইলিয়টগঞ্জের উভয় পাশে প্রায় পাঁচ কিলোমিটার যানজটের সৃষ্টি হয়।

খবর পেয়ে ইলিয়টগঞ্জ হাইওয়ে থানা-পুলিশ ও কুমিল্লার জ্যেষ্ঠ সহকারী পুলিশ সুপার (দাউদকান্দি-চান্দিনা সার্কেল) মো. তানভীর ফয়সাল ঘটনাস্থলে গিয়ে মহাসড়কে ডাকাতি-ছিনতাই বন্ধে পদক্ষেপ নেওয়ার আশ্বাস দিলে তাঁরা কর্মসূচি প্রত্যাহার করে নেন।

কর্মসূচি থেকে যানবাহনের চালকেরা বলেন, ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে রাতের আঁধারে যাত্রীবাহী মাইক্রোবাস, ব্যক্তিগত গাড়ি, বিদেশ থেকে আসা প্রবাসীদের গাড়ি, হালকা যানবাহনে রড দিয়ে গ্লাস ভেঙে প্রতিনিয়ত ডাকাতি ও ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটছে। এতে চালকদের জীবন হুমকির মুখে পড়ছে। ডাকাত দল ডাকাতি শেষে যাত্রীদের সর্বস্ব নিয়ে পালানোর সময় কৌশলে চালকদের অপরাধী বানাচ্ছে। এতে চালকেরা বিনা অপরাধে জেল-জুলুমের শিকার হচ্ছেন। হয়রানি থেকে মুক্তি পেতে তাঁরা প্রশাসনের কাছে নিরাপত্তার দাবি জানিয়েছেন।

ইলিয়টগঞ্জ হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা দেওয়ান কৌসিক আহমেদ প্রথম আলোকে বলেন, নিয়মিত ডাকাতি-ছিনতাইয়ের ঘটনা মুন্সিগঞ্জ ও নারায়ণগঞ্জ এলাকায় ঘটছে। কুমিল্লা অংশে এমন ঘটনার কোনো অস্তিত্ব নেই। তবে তৃতীয় লিঙ্গের মানুষের উৎপাত বেড়েছে। চালকেরা মধ্যবর্তী স্থান হিসেবে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের ইলিয়টগঞ্জ এলাকাটি বেছে নিয়েছেন এবং শান্তিপূর্ণভাবে মানববন্ধন করেছেন। কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি।

কুমিল্লার এএসপি তানভীর ফয়সাল বলেন, মহাসড়ক নিরাপদ রাখতে হালকা যানবাহনের মালিক ও চালকদের দাবিগুলো ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হবে। তাঁদের অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে ডাকাতি-ছিনতাই বন্ধে তদন্ত সাপেক্ষে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়া হবে।