পুলিশের ধাওয়া, বাসের সঙ্গে ধাক্কা, অটোরিকশাচালক নিহত, সড়ক অবরোধ

দুর্ঘটনার পর ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক অবরোধ করে স্থানীয়রা। বুধবার বেলা বারোটার দিকে চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডের পন্থিছিলা বটতল এলাকায়
ছবি: সংগৃহীত

ঢাকা–চট্টগ্রাম মহাসড়কের সীতাকুণ্ড পৌর সদরের কাছে হাইওয়ে পুলিশের তাড়া খেয়ে উল্টো পথে ছুটতে থাকা সিএনজিচালিত একটি অটোরিকশার সঙ্গে বাসের মুখোমুখি সংঘর্ষে প্রাণ গেছে অটোরিকশাচালকের। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও চারজন, তাঁদের দুজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। পৌর সদরের পন্থিছিলা বটতল এলাকায় মহাসড়কের চট্টগ্রামমুখী লেনে আজ বুধবার বেলা ১১টার দিকে এ দুর্ঘটনা ঘটে।

নিহত কোরবান আলী পৌরসভার ইয়াকুবনগর এলাকার বাসিন্দা। পুলিশের ধাওয়ায় সিএনজিচালিত অটোরিকশার দুর্ঘটনার খবর ছড়িয়ে পড়লে স্থানীয় বাসিন্দারা জড়ো হয়ে বটতল এলাকায় ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক অবরোধ করেন। খবর পেয়ে দুপুর ১২টার দিকে সীতাকুণ্ড থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল কালাম আজাদ পুলিশ নিয়ে ঘটনাস্থলে যান। ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত ও আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাসে বিক্ষুব্ধ জনতা অবরোধ তুলে নেন।

স্থানীয় সূত্র জানায়, মহাসড়কে যাত্রী নিয়ে একটি অটোরিকশা চলার সময় সাদা পোশাকে থাকা হাইওয়ে পুলিশের একটি দলের ধাওয়ার মুখে পড়ে। পুলিশের হাত থেকে বাঁচার জন্য অটোরিকশাটি মহাসড়কের ঢাকামুখী লেন থেকে ঘুরে উল্টো পথে চট্টগ্রামমুখী লেনে চলতে শুরু করে। অটোরিকশায় চারজন যাত্রী ছিলেন। অটোরিকশাটি নুনাছড়া ও বটতলার মধ্যবর্তী বহদ্দারপুল নামক স্থানে পৌঁছালে চট্টগ্রামমুখী দাউদকান্দি এক্সপ্রেস নামের একটি যাত্রীবাহী বাসের সঙ্গে সংঘর্ষ হয়।

এতে ঘটনাস্থলেই চালক কোরবান আলী নিহত হন। আহত হন অটোরিকশায় থাকা চার যাত্রী। পরে হাইওয়ে পুলিশের সদস্যরা আহত ব্যক্তিদের উদ্ধার করে প্রথমে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন। পরে তাঁদের চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠিয়ে দেওয়া হয়। আহত ব্যক্তিদের মধ্যে দুজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানিয়েছে পুলিশ।

হাইওয়ে পুলিশের মোবাইল টিমের দায়িত্বে থাকা উপপরিদর্শক ইমরান হোসেন প্রথম আলোকে বলেন, অটোরিকশাকে হাইওয়ে পুলিশের ধাওয়ার বিষয়টি তিনি জানেন না। বরং দুর্ঘটনার পর খবর পেয়ে তাঁরা ঘটনাস্থলে গিয়ে হতাহতদের উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করিয়েছেন।

সীতাকুণ্ড থানার ওসি আবুল কালাম আজাদ প্রথম আলোকে বলেন, স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, হাইওয়ে পুলিশের একটি দল সিএনজিচালিত অটোরিকশাকে ধাওয়া করায় এ দুর্ঘটনা ঘটেছে। তবে হাইওয়ে পুলিশ জানিয়েছে, দুর্ঘটনার খবর পেয়ে তাঁরা ঘটনাস্থলে গিয়েছেন।

এর আগে সকাল ১০টার দিকে বড় কুমিরার মহাসড়কে ২টি ৮ নম্বর (লোকাল) মিনিবাসের মুখোমুখি সংঘর্ষে অন্তত ১০ যাত্রী আহত হন। তাঁদের উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রেরণ করেন ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা। বারআউলিয়া হাইওয়ে থানার ওসি নাজমুল হক জানান, দুর্ঘটনাকবলিত বাস দুটি জব্দ করা হয়েছে।

দুটি দুর্ঘটনায় আহত ব্যক্তিদের মধ্যে নয়জনকে উপজেলা স্বাস্থ্যকমপ্লেক্সে আনা হয়েছিল বলে জানান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা নুর উদ্দিন রাশেদ। তিনি বলেন, সবাইকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।