‘গাড়ি ভাড়া’ করা নিয়ে ছাত্রলীগের দুই পক্ষের সংঘর্ষ, আহত ১৩

দুই পক্ষের সংঘর্ষে আহত ছাত্রলীগের কয়েকজন কর্মী। আজ সকালে নগরের চকবাজারের কলেজ গেট এলাকায়ছবি সংগৃহীত।

চট্টগ্রাম নগরের চকবাজার এলাকায় ছাত্রলীগের দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। আজ সোমবার দুপুর সাড়ে ১২টায় হাজী মুহাম্মদ মহসিন কলেজ এবং চকবাজার থানা শাখা ছাত্রলীগের মধ্যে এই সংঘর্ষ বাঁধে। এতে দুই পক্ষের অন্তত ১৩ জন আহত হয়েছে বলে দাবি করেছেন দুই পক্ষের নেতারা।

ছাত্রলীগের চকবাজার থানা ছাত্রলীগের সভাপতি মো. জাহেদুল ইসলাম প্রথম আলোর কাছে দাবি করে বলেন, ফিলিস্তিনে ইসরায়েলের গণহত্যার প্রতিবাদে ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটি কর্মসূচি ঘোষণা করেছিল আজ। সকালে ওই কর্মসূচি শেষ করে সিআরবি এলাকায় আরও একটি কর্মসূচিত যোগ দিতে যাচ্ছিলেন চকবাজার থানা ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা।

এ সময় কলেজ গেট এলাকায় একটি টেম্পো ভাড়া করছিলেন তাঁরা। তবে ওই টেম্পো ভাড়া করা নিয়ে হাজী মুহাম্মদ মহসিন কলেজ শাখা ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীদের সঙ্গে চকবাজার ছাত্রলীগের নেতা–কর্মীদের কথা-কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে সংঘর্ষ বেঁধে গেলে চকবাজার থানা ছাত্রলীগের চারজন কর্মী আহত হন।

জাহেদুল জানান, অতর্কিত হামলায় আহত হয়েছেন ইমরান খান, আশিকুল ইসলাম, সাইদুল ইসলাম ও ইশান রাকিব। এদের মধ্যে ইমরান ও আশিকুলের মাথা ফেটে গেছে। বাকিরা হাত ও পায়ে আঘাত পেয়েছেন। সবাইকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে (চমেক) চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।

অন্যদিকে মহসিন কলেজ শাখা ছাত্রলীগের আহ্বায়ক কাজী নাঈম প্রথম আলোকে বলেন, পূর্বঘোষিত কর্মসূচি হিসেবে তাঁরা পদযাত্রা বের করেন। কলেজ গেট এলাকায় তাঁদের নেতা-কর্মীর ওপর অতর্কিত হামলা চালিয়েছেন চকবাজার থানা ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা। এতে তাঁদের নয়জন আহত হয়েছেন। তাঁকেও হকিস্টিক দিয়ে আঘাত করা হয়েছে।

কাজী নাঈম জানান, তিনি ছাড়া সংঘর্ষে আহত তাঁদের অন্য নেতা-কর্মীরা হলেন মফিজুর রহমান, আরমান হোসাইন, মোহাম্মদ তাকিব, আরবিন আরমান, শাহারিয়ার নাফিজ, রিমন উদ্দিন, মোন্তাসির সালমান, সাইদুল ইসলাম। আহত ব্যক্তিদের চমেকে পাঠানো হয়েছে।

ঘটনার বিষয়ে মহসিন কলেজ ছাত্রলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক মায়মুন উদ্দিন প্রথম আলোকে বলেন, জাহেদুল ইসলামের নেতৃত্বে অতর্কিতভাবে তাঁদের ওপর হামলা হয়েছে। বিনা উসকানিতে এই হামলা করেছেন চকবাজার থানা ছাত্রলীগের কিছু নেতা-কর্মী।

জানতে চাইলে চকবাজার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ওয়ালি উদ্দিন আকবর প্রথম আলোকে বলেন, ছাত্রলীগের দুই পক্ষের মধ্যে পাল্টাপাল্টি ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। পরে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এখন পরিস্থিতি স্বাভাবিক।