পাখির বাচ্চা খুঁজতে গিয়ে কিশোরের হাত আটকাল গাছের কোটরে, ২ ঘণ্টা পর উদ্ধার
পঞ্চগড়ের দেবীগঞ্জ উপজেলায় এক কিশোর পাখির বাচ্চা খুঁজতে গাছে উঠেছিল। এ সময় গাছের কোটরে হাত ঢুকিয়ে দেয় সে। এতে তার হাত আটকে যায়। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা আসেন। এরপর ওই কিশোরের বাবা ফায়ার সার্ভিস সদস্যদের আনা মই ব্যবহার করে গাছে ওঠেন। বাটাল ও হাতুড়ি দিয়ে কোটর কেটে দুই ঘণ্টা পর ছেলেকে উদ্ধার করে নিচে নামিয়ে আনেন তিনি।
গতকাল সোমবার সন্ধ্যায় উপজেলার দেবীগঞ্জ সদর ইউনিয়নের পূর্ব দেবীডুবা-প্রধান পাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। ওই কিশোরের নাম মো. শুভ (১৩)। সে পূর্ব দেবীডুবা-প্রধান পাড়া এলাকার নছিমনের চালক সৈকত ইসলামের ছেলে।
ফায়ার সার্ভিস, কিশোরের পরিবারের সদস্য ও স্থানীয় লোকজনের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, গতকাল বিকেল পাঁচটার দিকে বাড়ির কাছে নির্জন এলাকায় একটি কড়ই গাছে পাখির বাচ্চা খুঁজতে ওঠে শুভ। এ সময় গাছের কোটরে ডান হাত ঢুকিয়ে দেয় সে। পরে হাতটি বের করতে না পেরে চিৎকার করতে থাকে। স্থানীয় লোকজন এসে চেষ্টা করেন।
তাঁরা কোটর থেকে হাত বের করতে না পেরে দেবীগঞ্জ ফায়ার সার্ভিসে খবর দেন। এর মধ্যে গাছের নিচে মানুষের ভিড় জমে যায়। একপর্যায়ে ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা এলে তাঁদের মই ব্যবহার করে ওই কিশোরের বাবা সৈকত ইসলাম গাছে ওঠেন। এরপর তিনি বাটাল ও হাতুড়ি দিয়ে গাছের কোটরটি কেটে ছেলের হাত বের করে আনেন।
তাঁর ছেলে সুস্থ আছে জানিয়ে সৈকত ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, ‘শুভ কখন যে গাছে উঠেছিল আমরা কেউই তা টের পাইনি। পরে খবর পাই গাছের কোটরে তার হাত আটকে গেছে। কোটরটি বাঁকা ছিল। এ জন্য হাত ভেতরে ঢোকানোর পর বের করতে পারছিল না। কোটরে হাতের কবজি আটকে যাচ্ছিল। পরে আমি ফায়ার সার্ভিসের মইয়ের সহায়তায় গাছে উঠে হাতুড়ি ও বাটাল দিয়ে কোটরটি বড় করি এবং ওর হাত বের করে আনি।’
দেবীগঞ্জ ফায়ার সার্ভিসের সদস্য জগদীশ রায় আজ মঙ্গলবার প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমরা খবর পেয়ে গতকাল সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টার দিকে ঘটনাস্থলে যাই। এ সময় সেখানে অনেক মানুষের ভিড় ছিল। মাটি থেকে গাছটির উচ্চতা প্রায় ৪০ ফুট। ওই কিশোরের একটি হাত কোটরে ঢোকানো এবং অন্য হাত দিয়ে সে ডাল ধরে ছিল। পরে আমাদের মই ব্যবহার করে তার বাবা নিজেই গাছে ওঠেন।’