৫০টি কেন্দ্রে জাফর উল্যাহ ছয়টির বেশি ভোট পাবেন না: নিক্সন চৌধুরী

ভাঙ্গার কাউলিবেড়া ইউনিয়নের শেখপুরা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে নির্বাচনী সভায় বক্তব্য দেন নিক্সন চৌধুরী। গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেলে তোলাছবি: প্রথম আলো

ফরিদপুর-৪ (ভাঙ্গা-সদরপুর-চরভদ্রাসন) আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী সংসদ সদস্য মজিবুর রহমান চৌধুরী ওরফে নিক্সন বলেছেন, ‘শেখপুরা সেন্টারে গতবার আমি ছয়টা ভোট পাইছি। কীভাবে পাইছি সেটা আপনারাই ভালো জানেন। তবে এবার আমি ওয়াদা করলাম, ৫০টা সেন্টারে জাফর উল্যাহ সাহেব ছয়টার বেশি ভোট পাবেন না।’

গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেলে ভাঙ্গার কাউলিবেড়া ইউনিয়নের শেখপুরা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে এক নির্বাচনী সভায় নিক্সন এসব কথা বলেন। নিক্সন চৌধুরী ফরিদপুর-৪ আসনের টানা দুবারের স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য এবং যুবলীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য।

কাজী জাফর উল্যাহ আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও দলের সংসদীয় নির্বাচন পরিচালনা কমিটির কো–চেয়ারম্যান এবং ফরিদপুর-৪ আসনের আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকা প্রতীকের প্রার্থী। এবারও দলীয় মনোনয়নবঞ্চিত হয়ে তাঁর বিরুদ্ধে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করছেন নিক্সন চৌধুরী।

নিক্সন চৌধুরী বলেন, ‘আপনি জোর করে নৌকাটা নিছেন। নৌকা দুইবার হারলে আমাদের বুকে রক্তক্ষরণ হয়। আপনার কোনো ক্ষরণ হয় না। যদি আপনার বুকে রক্তক্ষরণ হইতো তাহলে নিক্সনের জোয়ারের ভেতর এবার আপনি নৌকা নিতেন না।’

যুবলীগের সভাপতিমণ্ডলীর এই সদস্য আরও বলেন, ‘কাজী জাফর উল্যাহ এখন ব্যবসায়ীদের ফোন করে বলেন, “আমি তো কো-চেয়ারম্যান ও প্রেসিডিয়াম মেম্বার, নিক্সনের সাথে নির্বাচনে অনেক খরচ কিছু মাল পাঠাও।” কাকা কো-চেয়ারম্যান, ছয়বারের প্রেসিডিয়াম মেম্বার, তাঁর এই কথায় একেক ব্যবসায়ী যদি একেক কোটি দেয়, তাহলে ১০০ ব্যবসায়ী ১০০ কোটি দেবে। ওই টাকা কাকা ব্যাংকে ঢুকাবে। চাচার ভোট গিজগিজ করে এই জন্য চাচা দেশে আসেন না। চাচা মাল গুনতেছে, ব্যাংকে ঢুকায়, ইলেকশন করবে না।’

নিক্সন চৌধুরী বলেন, নিক্সন চৌধুরী কাউলিবেড়ার সেন্টারে আসবে, বিকাল চারটার সময় ভোট গুনে বের হবে, সাহস থাকলে আপনি আইসেন। কাকাকে হাতজোড় করে অনুরোধ করি, খেলা রাইখা পিছ মাঠ দিয়া পালাইয়া যাইয়েন না।’ কাজী জাফর উল্যাহ এবার ১ লাখ ভোটের ব্যবধানে হারবেন মন্তব্য করে নিক্সন চৌধুরী বলেন, ‘কাউলিবেড়াবাসী আপনাদের কাছে জবান দিয়ে গেলাম, আমার একটা মানুষকে যদি গায়ে হাত দেয়, তাহলে ভাঙ্গায় ১১ ইউনিয়নে তাঁর ১০০ লোকের গায়ে হাত দেওয়া হবে। ওরা যদি একটা ধমক দেয়, পুরা ২৪ ইউনিয়নে ২০০ ধমক খাবেন।’

প্রসঙ্গত, কাজী জাফর উল্যাহ ভাঙ্গার কাউলিবেড়া ইউনিয়নের কাউলিবেড়া গ্রামের বাসিন্দা। কাউলিবেড়া ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান কাজী রওশন কবিরের সভাপতিত্বে নির্বাচনী সভায় অন্যান্যের মধ্যে জেলা পরিষদের সদস্য স্বপন মোল্লা, শেখপুরা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি ইউনুস মাতুব্বর, ভাঙ্গা উপজেলা যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক শেখ আরাফাত হোসেন, কাউলিবেড়া মহিলা আওয়ামী লীগের সভাপতি কাজী সিলভিয়া প্রমুখ বক্তব্য দেন।