ইয়াবা বিক্রিতে রাজি না হওয়ায় খুলনার তরুণ ইমনকে গুলি করে হত্যা, গ্রেপ্তার ৫

গ্রেপ্তার
প্রতীকী ছবি

খুলনা নগরের গোবরচাকা এলাকায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে রংমিস্ত্রি ইমন শেখকে (২২) হত্যা করা হয়েছে বলে দাবি পুলিশের। তবে নিহত ইমনের বাবা সানোয়ার হোসেন বলেন, ‘ইয়াবা’ বিক্রি করতে রাজি না হওয়ায় তাঁর ছেলেকে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে। অবশ্য হত্যা মামলার এজাহারে পূর্বশত্রুতার কথা উল্লেখ করা হয়েছে।

গতকাল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা সাতটার দিকে খুলনা নগরের গোবরচাকা এলাকায় ইমন শেখকে গুলি করে দুর্বৃত্তরা। পরে রাত সাড়ে আটটার দিকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান। ইমন একই এলাকার মো. সানোয়ার হোসেনের একমাত্র ছেলে।

এ ঘটনায় রাতেই নিহত ইমনের বাবা সানোয়ার হোসেন বাদী হয়ে সোনাডাঙ্গা থানায় হত্যা মামলা করেছেন। মামলার এজাহারে ১৭ জনের নাম উল্লেখ করে এবং আরও চার-পাঁচজনকে অজ্ঞাত আসামি করা হয়েছে। পুলিশ ইতিমধ্যে পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করেছে। উদ্ধার করেছে একটি ওয়ান শুটার গান। গ্রেপ্তার পাঁচজন হলেন রিয়াজ, বুলু পাটোয়ারি, আপন খাঁ, জাকারিয়া ও আকাশ হাওলাদার। সবার বয়স ২০ থেকে ২৫ বছরের মধ্যে।

সানোয়ার হোসেন বলেন, ‘কয়েক দিন আগে ইমন কয়েকজনের নাম ধরে বলেছিল, তাঁরা তাঁকে (ইমনকে) ‘বড়ি’ (ইয়াবা) বিক্রি করার কথা বলেছেন। কিন্তু ইমন তা বিক্রি করতে রাজি না হওয়ায় তাঁদের সঙ্গে ঝগড়া হয়েছে। সেই ঝগড়া থেকেই মূলত তাঁকে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে।’

সোনাডাঙ্গা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মমতাজুল হক বলেন, এলাকায় আধিপত্য নিয়ে দুটি গ্রুপের মধ্যে বিবাদ ছিল। ওই বিবাদের জেরে গতকাল রাতে ইমনকে গুলি করে হত্যা করেছেন প্রতিপক্ষ। পুলিশ রাতেই অভিযান চালিয়ে পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করেছে। অন্যদের গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত চলছে। তিনি আরও বলেন, লাশ রাতে হাসপাতালের মর্গে রাখা ছিল। আজ সকালে ময়নাতদন্তের প্রক্রিয়া চলছে। ময়নাতদন্ত শেষ হলে লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে।
ইয়াবা বিক্রির বিষয়ে জানতে চাইলে ওসি বলেন, বিষয়টি তদন্ত করা হচ্ছে। তদন্ত শেষে বিস্তারিত জানা যাবে।

পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, ঘটনার সময় ইমন ওই এলাকার একটি দোকানে বসে ছিলেন। এ সময় পাঁচ থেকে ছয়টি মোটরসাইকেলে ১০-১২ জন অজ্ঞাতনামা ব্যক্তি এসে ইমনকে লক্ষ্য করে এলোপাতাড়ি গুলি করতে থাকেন। এতে ইমন শেখের বুকের বাঁ পাশ গুলিবিদ্ধ হয়। স্থানীয় লোকজন তাঁকে গুরুতর আহত অবস্থায় উদ্ধার করে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যান। পরে রাত সাড়ে আটটার দিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি।